শ্যামপুরে ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ২২ মে ২০২২, ০২:৩৯
পেটে প্রচণ্ড ব্যথা নিয়ে ভুগছিলেন গৃহবধূ আয়েশা আক্তার (৩০)। সকালে আয়েশার স্বামী দ্বীন ইসলাম জরুরি চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান রাজধানীর শ্যামপুরে পোস্তগোলায় অবস্থিত সাউথ ইস্ট মডেল হাসপাতালে। সেখানকার চিকিৎসক আয়েশাকে দেখে জরুরি ভিত্তিতে মেডিক্যাল পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর দ্রুত অপরারেশন করানোর জন্য পরামর্শ দেন। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওই হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে নেয়া হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সহযোগী অধ্যপক ডা: আব্দুল করিম। অপারেশনের জন্য ইনজেকশন পুশ করতেই আয়েশার শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি হয়। একপর্যায়ে আয়েশাকে পাশের অবস্থিত ডেলটা ডায়গনস্টিক হাসপাতালের আইসিইউতে নিয়ে গেলে সেখানে গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় মৃত্যুর কোলে ঢোলে পরেন। নিহত আয়েশার মামা মজিবুর রহমানের অভিযোগ, চিকিৎসকরা তার ভাগ্নিকে মাত্রাতিরিক্ত এনেসথেসিয়া ইনজেকশন পুশ করে হত্যা করেছে। তিনি জানান, তার ভাগ্নির পিত্তথলিতে পাথর হয়। ব্যথার যন্ত্রণা নিয়েই শনিবার সকালে সাউথ ইস্ট মডেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে ভুল চিকিৎসায় তার ভাগ্নি মৃত্যু হয় বলে তিনি অভিযোগ করেন।
নিহত আয়েশার বাবার নাম লেহাজ উদ্দিন। গ্রামের বাড়ি মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে চর গলগলিয়ায়। দুই ছেলে ও দুই মেয়ের জননী ছিলেন আয়েশা।
সাউথ ইস্ট মডেল হাসপাতালের ম্যানেজার মামুন সাংবাদিকদের বলেন, সকালে ব্যথা নিয়ে আয়েশা আক্তার এই হাসপাতালে আসেন। তার পিত্তথলিতে পাথর ছিল। তার অপারেশনের জন্য থিয়েটারে নেয়া হয়। সেখানে এনেসথেসিয়া ইনজেকশন পুশ করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক আব্দুল করিম। ওই সময় রোগী ‘ভয়ে হার্ট অ্যাটাক্ট’ করেন। সেখানে আইসিইউ না থাকায় পাশের একটি হাসপাতালে রেফার্ড করা হলে সেখানে মারা যান আয়েশা।
শ্যামপুর থানার ওসি মফিজুল আলম বলেন, আমরা এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। তিনি বলেন, বৈধ কোনো হাসপাতালে রোগীর মৃত্যু হলে এ ব্যাপারে দেখবে স্বাস্থ্য অধিদফতর। আমাদের আইনগত কিছু করার ক্ষমতা নেই।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা