অতিরিক্ত মুনাফার কারণে ভোজ্যতেলের বাজারে অস্থিরতা
- চট্টগ্রাম ব্যুরো
- ১৭ মে ২০২২, ০২:৫৫
নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের বাজার স্থিতিশীল রাখতে চট্টগ্রাম চেম্বারের উদ্যোগে ব্যবসায়ীদের সাথে মতবিনিময় সভা গতকাল সকালে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারস্থ বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত হয়। চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলমের সভাপতিত্বে সভায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর চট্টগ্রামের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ফয়েজ উল্যাহ, চেম্বার পরিচালক মো: অহীদ সিরাজ চৌধুরী (স্বপন), খাতুনগঞ্জ ট্রেড অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও চেম্বারের সাবেক পরিচালক ছৈয়দ ছগীর আহমদ, মহানগর দোকান মালিক সমিতির সভাপতি সালামত আলী, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি সালেহ আহমেদ সুলেমান, পাহাড়তলী বণিক সমিতি, কর্ণফুলী বাজার সমিতি, চাকতাই আড়ৎদার সমিতির প্রতিনিধি বক্তব্য রাখেন। এ সময় চেম্বার পরিচালক জহিরুল ইসলাম চৌধুরী (আলমগীর), মো: ইফতেখার ফয়সাল, মোহাম্মদ আদনানুল ইসলাম ও মোহাম্মদ নাসিরুল আলম (ফাহিম), আমদানিকারক, বিভিন্ন মার্কেট অ্যাসোসিয়েশন, দোকান মালিক সমিতি, উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, বর্তমানে দেশে ভোগ্যপণ্যের বাজারে অস্থিরতা বিরাজ করছে। করোনা মহামারী, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, ডলারের মূল্যবৃদ্ধি ইত্যাদি কারণে আমদানিকৃত ভোগ্যপণ্যের কিছুটা মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু সারা দেশের প্রায় ৫৪ লাখ ব্যবসায়ীর মধ্যে অল্প ব্যবসায়ীর অতিরিক্ত মুনাফার কারণে ভোজ্যতেলের বাজারে অস্থিতিশীলতা বিরাজ করছে বলে তিনি জানান।
কিছু ব্যবসায়ীর কারণে যাতে ব্যবসায়ী সমাজের ইমেজ ক্ষতিগ্রস্ত না হয় এ ব্যাপারে সবার সহযোগিতা কামনা করেন চেম্বার সভাপতি। মাহবুবুল আলম সাপ্লাই চেইন, সব ব্যাংক কর্তৃক ডলারের একই মূল্য রাখা, আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকা এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর চট্টগ্রামের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ফয়েজ উল্যাহ মিল থেকে সরাসরি ভোজ্যতেল বিক্রির অনুরোধ জানিয়ে ১৫ দিনের মধ্যেই সেলস অর্ডার (এসও) ক্লিয়ার করার কথা জানান। তিনি বলেন, কোম্পানির সেলস্ রিপ্রেজেন্টেটিভদের (এসআর) সাথে অনেক সময় ব্যবসায়ীদের যোগসাজশ থাকতে পারে। তাই এসআরদের এই অনৈতিক কর্মকাণ্ডের দায় কোম্পানি এড়াতে পারে না। মোহাম্মদ ফয়েজ উল্যাহ সবার বিবেককে জাগ্রত করে অবৈধ মজুদদাররা যেন ফায়দা লুটতে না পারে তার জন্য স্ব-স্ব অবস্থান থেকে দায়িত্ব পালন করার অনুরোধ জানিয়ে পুরনো পণ্য পুরনো দামে বিক্রি করার আহ্বান জানান।
সভায় বক্তারা পরিশোধিত ও অপরিশোধিত তেলের শুল্ক মূল্যের পার্থক্য ন্যূনতম তিন থেকে চার মাসের জন্য সমন্বয় করা, অসাধু ব্যবসায়ীদের শাস্তির ব্যবস্থাকরণ, দুই থেকে তিনজনের কাছে বিক্রি না করে সব ডিলারের নিকট বিক্রি করা, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ভোগ্যপণ্য আমদানিতে উৎসাহ প্রদান, ভোগ্যপণ্যের শুল্ক কমানো, আসন্ন কোরবানি ঈদের সময় পেঁয়াজ, রসুন, আদা ইত্যাদি মসলার বাজার স্থিতিশীল রাখার দাবি জানান।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা