১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`
সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে ডিআরইউতে সংবাদ সম্মেলন

বাড়ি ছাড়া নবাবগঞ্জের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীরা

-

৪০ বছর ধরে আওয়ামী লীগের পদধারী নেতা তিনি। ইউনিয়ন ও থানায় দায়িত্ব পালন শেষে বর্তমানে তিনি ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক। দীর্ঘ এই রাজনৈতিক জীবনে ছিলেন ঢাকার নবাবগঞ্জের ১৪ নং চুড়াইন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। মাঝখানে তাকে বাদ দিয়ে অন্যজনকে দেয়া হয় দলীয় সমর্থন। এবার আর ছাড় নয়। নৌকা প্রতীক চেয়েও না পেয়ে স্বতন্ত্রপ্রার্থী হয়েছেন হাজী মো: আব্দুল জব্বার ভূঁইয়া। আগামী ৩১ জানুয়ারি এই ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ভোট। তিনি বলেন, গত ১৪ জানুয়ারি প্রতীক বরাদ্দের পর আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী ও তার সমর্থিত সন্ত্রাসী বাহিনীর হুমকিতে এলাকা ছাড়া হয়েছেন। তার সমর্থকদের মারধর এবং পুলিশ দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। লিফলেট-পোস্টার লাগাতে দিচ্ছেন না সরকারদলীয় প্রার্থীর সমর্থিত লোকজন। এরই মধ্যে গত ২১ জানুয়ারি নির্বাচনী প্রচারণার ক্যাম্প ও বাড়ির উঠানে হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করেন এই স্বতন্ত্রপ্রার্থী।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন হাজী মো: আব্দুল জব্বার ভূঁইয়া। তার সাথে আরো দুই স্বতন্ত্র ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থীও একই অভিযোগ করেন। তবে লিখিত বক্তব্যে আরো দুইজন স্বতন্ত্রপ্রার্থীর নাম থাকলেও তারা উপস্থিত ছিলেন না।
আব্দুল জব্বার ভূঁইয়া ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সারা জীবন আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে আছি। ১৯৮২-২০০৩ সাল পর্যন্ত ছিলাম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। ২০০৩-২০১৪ সাল পর্যন্ত ছিলাম নবাবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। ওই কমিটি ভেঙে দিয়ে আহ্বায়ক কমিটি চলছে। তখন থেকেই আমি আবার জেলা আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। কিন্তু নৌকা যাকে দেয়া হয়েছে তিনি আওয়ামী লীগের কেউ না। ছিলেন বিদেশে। টাকা আছে তার। এ জন্যই তাকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। কিন্তু গ্রামের মানুষ, এলাকার লোকজনের চাপে শেষ বয়সে চেয়ারম্যান পদে দাঁড়িয়েছি। এখানে তো আওয়ামী লীগের ছাড়া আর কোনো প্রার্থী নেই। তাই সেখানে সুষ্ঠু ভোট হোক। এ জন্য প্রশাসন বিশেষ করে স্থানীয় সংসদ সদস্য সালমান এফ রহমানের কাছে অনুরোধ করেন মো: আব্দুল জব্বার ভূঁইয়া।
সংবাদ সম্মেলনে একই ধরনের অভিযোগ করেন উপজেলার ১১ নং কৈলাইল ইউনিয়ন পরিষদের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসির উদ্দিন আহমেদ এবং ১৩ নং গালিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মো: রেজাউর রহমান।
নাসির উদ্দিন জানান তিনি নবাবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এবং ঢাকা জেলা দক্ষিণের কৃষক লীগের সহসভাপতি। অন্য দিকে, রেজাউর রহমান উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এবং বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির সদস্য বলে জানান। তাদের অভিযোগ, দলীয় মনোনয়ন না পেলেও এলাকার মানুষের অনুরোধে তারা স্বতন্ত্রপ্রার্থী হয়েছেন। কিন্তু নৌকা মার্কার প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা স্বতন্ত্র প্রার্থীদের প্রচারণা করতে দিচ্ছে না। স্বতন্ত্র প্রার্থীকে নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার হুমকিসহ তাদের সমর্থকদের মারধর,বাড়িঘরে হামলা এবং পুলিশ দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে।
এ সব বিষয়ে স্থানীয় নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনে প্রতিকার চেয়ে আবেদন করেও কোনো লাভ হয়নি। তাই সরকার প্রধানসহ স্থানীয় সংসদ সদস্য সালমান এফ রহমানের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তারা বলেন, এটা তো স্থানীয় নির্বাচন। আমরা সবাই আওয়ামী লীগ করি। আমরা সুষ্ঠু অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য অনুরোধ করছি।


আরো সংবাদ



premium cement
সাংবাদিকতার পথিকৃৎ কাঙ্গাল হরিনাথ মজুমদারের ১২৮তম প্রয়াণ দিবসে স্মরণ সভা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষকদের শূন্য পদ দ্রুত পূরণের নির্দেশ ট্রেনের ইঞ্জিনের সামনে ঝুলন্ত নারীর লাশ উদ্ধার মধুর প্রতিশোধে সিটিকে বিদায় করে সেমিফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদ রাজশাহীতে ভুয়া তিন সেনা সদস্য গ্রেফতার ডেঙ্গুতে আরো একজনের মৃত্যু, আক্রান্ত ২৩ চেয়ারম্যান প্রার্থীকে অপহরণ, প্রতিদ্বন্দ্বী আ'লীগ নেতাকে ইসির শোকজ বেসিস নির্বাচনে ওয়ান টিমের প্যানেল ঘোষণা চরফ্যাশনে স্কুল শিক্ষিকাকে কোপানো মামলার আসামি গ্রেফতার ফরিদপুরে মাইক্রোবাস-মাহেন্দ্র মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৫ ভেটো ছাড়াই ফিলিস্তিনের জাতিসঙ্ঘ সদস্যপদ ঠেকানোর চেষ্টায় যুক্তরাষ্ট্র

সকল