২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`
কুয়েট শিক্ষকের অস্বাভাবিক মৃত্যু

কবর থেকে লাশ তুলে ময়নাতদন্তের জন্য পুলিশের আবেদন

-

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো: সেলিম হোসেনের লাশ কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্তের জন্য আদালতে আবেদন করা হয়েছে। গত রোববার নগরীর খানজাহান আলী থানা পুলিশের পক্ষ থেকে আদালতে এ আবেদন জানানো হয়। তবে আদালত এ আবেদন আমলে নেয়নি।
খানজাহান আলী থানার ওসি প্রবীর কুমার বিশ্বাস বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) অধ্যাপক ড. মো: সেলিম হোসেনের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে মানুষের মধ্যে সন্দেহ ও নানা গুঞ্জন সৃষ্টি হওয়ায় বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসে। সে অনুযায়ী গত শনিবার খানজাহান আলী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়। যেহেতু শিক্ষক সেলিম হোসেনের মৃত্যুর পর তার লাশ স্বাভাবিকভাবে দাফন করা হয়েছে। এরপর তার মৃত্যুকে ঘিরে মানুষের মধ্যে নানা গুঞ্জন ও সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছে। ফলে রোববার পুলিশের পক্ষ থেকে কবর থেকে লাশ তুলে ময়নাতদন্তের জন্য আদালতে আবেদন জানানো হয়। কিন্তু আদালত আবেদনটি আমলে নেয়নি। তবে শিক্ষক সেলিমের মৃত্যুকে ঘিরে ব্যাপক রহস্য সৃষ্টি হওয়ায় বিষয়টি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আওতায় (নজরে) রয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশের পর পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ড. মো: সেলিম হোসেনের মৃত্যুর ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি। যে কারণে আদালত লাশ কবর থেকে তোলার অনুমতি দেয়নি। আদালত থেকে জানানো হয়, বিষয়টি জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের এখতিয়ারভুক্ত। এ জন্য জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আবেদনের নির্দেশনা দেয়া হয়। এরপর খুলনা জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে। লাশ যেহেতু কুষ্টিয়াতে দাফন করা হয়েছে তাই খুলনার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবেদনটি কুষ্টিয়ার জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে পাঠাবেন। এ দিকে, শিক্ষক সেলিম হোসেনের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় নতুন তদন্ত কমিটিকে ১০ দিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement