যানবাহনের জটিল মিশ্রণের জন্য ঢাকার রাস্তা অনিরাপদ
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ০৬ ডিসেম্বর ২০২১, ০১:৩৬
রাজধানীর রাস্তাগুলোতে প্রচুর পথচারী, অ-মোটরচালিত বাহনসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহনের ব্যাপক সংমিশ্রণ রয়েছে। ২০১৪ সালের এক সমীক্ষা অনুসারে ঢাকায় মোট চলাচলের ৫৮ শতাংশ পায়ে হাঁটা, সাইকেল চালানো ও রিকশা দ্বারা সম্পন্ন হয়েছে। এ ধরনের জটিল মিশ্রণের কারণে ঝুঁকিপূর্ণ সড়ক ব্যবহারকারী ও ক্রমবর্ধমান মোটর গাড়ির মধ্যে দ্বন্দ্ব অব্যাহত রয়েছে। যার ফলে নাগরিকদের জন্য অনিরাপদ পরিবেশ তৈরি হয়েছে। তাই শহরের সব সড়ক ব্যবহারকারীদের জন্য নিরাপদ ও টেকসই চলাচল নিশ্চিত করতে আরো অন্তর্ভুক্তিমূলক রাস্তার নকশা প্রণয়ন ও নির্মাণের মাধ্যমে সংঘর্ষ ও প্রাণহানির ঝুঁকি নিরসন খুবই জরুরি।
ব্লুমবার্গ ফিলানথ্রপিস ফর গ্লোবাল রোড সেফটি (ইওএজঝ) কার্যক্রমের আওতায় ওয়ার্ল্ড রিসোর্সেস ইনস্টিটিউট (ডজও) পরিচালিত ‘ঢাকায় নিরাপদ ও অন্তর্ভুক্ত সড়ক তৈরি’ শীর্ষক একটি প্রশিক্ষণ কর্মশালায় এ তথ্য তুলে ধরা হয়। অনলাইনে অনুষ্ঠিত তিন দিনব্যাপী এ প্রশিক্ষণে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রকৌশলীরা অংশ নেন।
ঢাকার রাস্তায় নিরাপত্তা, অন্তর্ভুক্তি ও ব্যবহারের সুযোগ উন্নত করার প্রতিশ্রুতি নিয়ে ডিএনসিসি এ বছরের মার্চ মাসে ইওএজঝ কার্যক্রমের আওতায় ডজও-এর সাথে অংশীদারত্ব স্থাপন করেছে। ডজও’র রয়েছে বিভিন্ন ভৌগোলিক অবস্থান ও প্রেক্ষাপটে নিরাপদ সড়ক ও নিরাপদ চলাচল উন্নয়নে কয়েক দশকের অভিজ্ঞতা। ডিএনসিসি শহরের ঝুঁকিপূর্ণ রাস্তা ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তা বাড়ানোর লক্ষ্যে পথচারী ও সাইকেল-বান্ধব রাস্তার তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছে।
সেই লক্ষ্যে ডজও তিন দিনের ধারাবাহিক অনলাইন ওয়েবিনার পরিচালনা করেছে। এর উদ্দেশ্য হলো ডিএনসিসির প্রকৌশলীদেরকে সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সড়ক নিরাপত্তার কিছু সেরা চর্চার সাথে পরিচিত করা। এ খাতে কর্মরত বিশেষজ্ঞদের সাথে যোগাযোগের সুযোগ তৈরি করা, বিভিন্ন শহর ও তাদের বিভিন্ন ঘটনা (কেস স্টাডি) তুলে ধরা এবং সেগুলোর কৌশল আলোচনার মাধ্যমে সর্বোত্তম ফলাফল অর্জনে সহায়তা করা। প্রশিক্ষণে প্যানেল আলোচক ও বিশেষজ্ঞরা ফোর্টালেজা, বোগোতা ও মুম্বাইয়ের মতো নগরী রূপান্তরের গল্পগুলো তুলে ধরে। এ ছাড়া ঢাকা উত্তরের সহযোগিতায় ডজও ঢাকায় তাদের কিছু কাজের নকশা প্রণয়ন প্রক্রিয়া বিষয়েও আলোচনা করেছে।
এ কার্যক্রমের উদ্বোধনীতে ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, আমি আশা করি সড়ক নিরাপত্তা কৌশল ও কার্যক্রম বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমরা আরো বাসযোগ্য ও নিরাপদ ঢাকা গড়ে তুলতে পারব।
ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা উদ্যোগটিকে খুবই সময়োপযোগী উল্লেখ করে বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন রাস্তাগুলোকে নাগরিকদের জন্য নিরাপদ করতে অঙ্গীকারবদ্ধ।
প্রশিক্ষণে ডিএনসিসির প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমিরুল ইসলাম এবং ইওএজঝ কার্যক্রমের ঢাকা উত্তর অংশের কারিগরি প্রধান তারিক বিন ইউসুফ, ব্লুমবার্গ ফিলানথ্রপিস রোড সেফটি কার্যক্রমের পরিচালক কেলি লারসন, ডজও ইন্ডিয়ার ইন্টিগ্রেটেড আরবান ট্রান্সপোর্ট কার্যক্রমের পরিচালক অমিত ভাট, ভাইটাল স্ট্র্যাটেজিসের তামাক নিয়ন্ত্রণ ও সড়ক নিরাপত্তাবিষয়ক উপপরিচালক শাওজিং ওয়াং প্রমুখ অংশ নেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা