ধর্ষণের শিকার নারীর চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তোলা দু’টি ধারা বাতিলের সিদ্ধান্ত
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ১৭ নভেম্বর ২০২১, ০১:১৯
ধর্ষণের শিকার নারীর চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তোলা সংক্রান্ত সাক্ষ্য আইনের দু’টি ধারা বাতিলে সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। গতকাল বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো: মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ তথ্য জানান অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। পরে আদালত রিটের শুনানি ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত মুলতবি করেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট জেড আই খান পান্না ও ব্যারিস্টার সারা হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
গত ১৪ নভেম্বর বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট), আইন ও সালিস কেন্দ্র (আসক) এবং নারীপক্ষে এ রিট আবেদন করেন ব্যারিস্টার সারা হোসেন। রিটে আইন মন্ত্রণালয়কে বিবাদী করা হয়।
রিটের বিষয়ে ব্যারিস্টার সারা হোসেন বলেন, আমরা সাক্ষ্য আইনের ১৫৫(৪) ও ১৪৬(৩) দু’টি ধারা বাতিল চেয়ে রিট দায়ের করেছি। রিটে এ ধারা দু’টির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। তিনি বলেন, এ ধারাগুলোতে বলা আছে একজন নারী যদি যৌন অপরাধের অভিযোগকারী হয় তাহলে আদালতে তার চরিত্র এবং ইতিহাস নিয়ে তাকে প্রশ্ন করা যায় ও জেরা করা যায়। অনেক দিন ধরে এগুলো বাতিলে আন্দোলন হয়েছে। তবে পদক্ষেপ না আসায় রিট নিয়ে হাইকোর্টের শরণাপন্ন হয়েছি।
১৮৭২ সালের সাক্ষ্য আইনের ১৫৫(৪) ধারায় বলা হয়েছে, কোনো লোক যখন বলাৎকার কিংবা শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগে ফৌজদারিতে সোপর্দ হন, তখন দেখানো যেতে পারে যে অভিযোগকারিণী সাধারণভাবে দুশ্চরিত্রা। এই আইনের ১৪৬ (৩) ধারায় বলা হয়েছে, তাহার চরিত্রের প্রতি আঘাত করে তার বিশ্বাসযোগ্যতা সম্পর্কে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করা যায়, যদিও এরূপ প্রশ্নের উত্তরের দ্বারা সে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কোনো অপরাধের সহিত জড়িত হতে পারে, কিংবা সে দণ্ডলাভের যোগ্য সাব্যস্ত হতে পারে, অথবা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে তাহার দণ্ডলাভের যোগ্য সাব্যস্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, তথাপি অনুরূপ প্রশ্ন করা যাবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা