১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৪ বৈশাখ ১৪৩১, ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`
ভিপি নুরের সংবাদ সম্মেলন

সহিংসতা তদন্তে কমিটি গঠন

-

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টে চলমান ঘটনায় দেশবাসীর মতো ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদও উদ্বিগ্ন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ছাত্র, যুব, শ্রমিক ও পেশাজীবী অধিকার পরিষদের সমন্বয়ক এবং ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর। এ ঘটনার প্রকৃত রহস্য উন্মোচনে ৯ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। গতকাল রোববার বিকেলে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এই কমিটি গঠনের কথা জানান তিনি। কমিটিকে ১০ কার্যদিবসের মধ্যে যথাযথ তদন্ত শেষে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ প্রদান করা হয়। তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন ঝুনুরঞ্জন দাস, সাদ্দাম হোসেন, অ্যাডভোকেট শিরিন সুলতানা, প্রকৌশলী থোয়াই চিং মং চাক, মো: নিজাম উদ্দীন, আজহারুল ইসলাম পাঠান আজহার, ফাতেমা তাসনিম, আরিফুল ইসলাম তায়েফ এবং প্রান্ত বড়–য়া।
দেশে ধারাবাহিকভাবে চলমান সঙ্ঘাত-সহিংসতা, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও উত্তরাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে শনিবার রাতে বাংলাদেশ ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদের এক জরুরি আলোচনা সভা হয়। সভায় উপস্থিত নেতারা দেশে চলমান সঙ্ঘাত-সহিংসতার নিন্দা ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেন। তারা নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের অস্বাভাবিক ঊর্ধ্বগতি ও তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি গেট খুলে দেয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
বৈঠকে নেতারা একতরফা পানি প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ না করে ভারতকে প্রতিবেশী সুলভ আচরণের আহ্বান জানিয়ে তিস্তাসহ ৫৪টি অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ে দেশের মধ্যে জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি ও কূটনৈতিকভাবে জোরালো পদক্ষেপ নেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
ঢাবি প্রতিবেদক জানান, সংবাদ সম্মেলনে নুর বলেন, চট্টগ্রামের জেএমসেন হল পূজামণ্ডপে হামলার ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা নেয়ার একটা অপচেষ্টা চলছে। হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদের কয়েকজন নেতাকর্মীকে জড়ানো হয়েছে। আমরা বলতে চাই, এই ঘটনায় যারা জড়িত তাদেরকে একটা নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে আইনের আওতায় আনা হোক। কুমিল্লার ঘটনায় যেমন সিসিটিভির ফুটেজ প্রকাশ করা হয়েছে, চট্টগ্রামের ঘটনায় তা না করে পুলিশ বিরোধী মত দমনের জন্য নেতাকর্মীদের হয়রানি করছে। পূর্বের বিভিন্ন অভিজ্ঞতা থেকে পুলিশ প্রশাসনের তদন্তে আমাদের বিশ্বাস উঠে গেছে, আমরা চাই বিচার বিভাগ নিরপেক্ষ তদন্ত করুক।
আটককৃত নেতাকর্মীদের কাছ থেকে পুলিশ ঘুষ দাবি করেছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, প্রশাসন সুষ্ঠু তদন্ত না করে বরং আটক হওয়া নেতাকর্মীদের প্রত্যেকের কাছে এক লাখ করে টাকা চেয়েছে। টাকা না দিলে ক্রসফায়ারের হুমকি দিয়েছে এবং তাদেরকে অমানবিক নির্যাতন করে জোরপূর্বক ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী নিয়েছে। পুলিশ বলেছে সিসিটিভির ফুটেজ দেখে তাদের গ্রেফতার করেছে, আমাদের দাবি সেই ফুটেজ সবার জন্য উন্মুক্ত করা হোক।
সাম্প্রদায়িকতা ঠেকাতে সরকার ব্যর্থ হয়েছে মন্তব্য করে নূর বলেন, কুমিল্লার ঘটনার তিন-চারদিন পর পর্যন্ত একই রকম ঘটনা দেশের বিভিন্ন জায়গায় অব্যাহত থাকতে দেখা গেছে। আমরা মনে করি সরকার ও সরকারের প্রশাসন এসব ঘটনা ঠেকাতে সম্পূর্ণ ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement