১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বিএমইটির অনুমতি ছাড়া জনশক্তি ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে মামলা না করার দাবি

-

অভিবাসন আইন ২০১৩ থাকার পরেও মানব পাচার আইনের অপব্যবহার করে রিক্রুটিং এজেন্সির মালিকদের নানাভাবে হয়রানি, মামলা ও গ্রেফতার করা হচ্ছে জনশক্তি ব্যবসায়ী তথা রিক্রুটিং এজেন্সির মালিকদের। মামলার এজাহারে মানব পাচার মামলা, এমনকি সাংবাদিকদের সামনে সংশ্লিষ্ট জনশক্তি ব্যবসায়ীকে ‘আমি মানব পাচারকারী’ লেখা হয়। এর ফলে জনশক্তি রফতানিকারকরা পারিবারিক ও সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন হচ্ছে। লজ্জায় মুখ দেখাতে পারছেন না ছেলেমেয়ে বা আত্মীয়স্বজনদের। অথচ রিক্রুটিং এজেন্সির মালিকরা সরকারের সব ধরনের নিয়ম মেনে জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) কাছ থেকে স্মার্ট কার্ড নিয়ে বিদেশে কর্মী পাঠানোর পরে কোনো সমস্যা হলেই মানব পাচার আইন ২০১২ মামলা দেয়া হয়। এই আইনের অপব্যবহার থেকে রিক্রুটিং এজেন্সির মালিকরা মুক্তি চান। পাশাপাশি ‘বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও অভিবাসী আইন-২০১৩’ বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন জনশক্তি ব্যবসায়ীরা। পাশাপাশি তাদের এই দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন সুশিল সমাজের প্রতিনিধিরা। বক্তারা বলেন, কোনো রিক্রুটিং এজেন্সির মালিকের (জনশক্তি ব্যবসায়ী) বিরুদ্ধে মামলা করার আগে বিএমইটির অনুমতি নিতে হবে।
গতকাল মঙ্গলবার বনানীস্থ হোটেল শেরাটনে রিক্রুটিং এজেন্সি ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশন অব বাংলাদেশ ‘মানব পাচার আইনের অপপ্রয়োগ, বৈধ অভিবাসনের অন্তরায়’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে আলোচকরা এসব কথা বলেন।

 


আরো সংবাদ



premium cement