২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`
দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে সমাবেশ

সরকার নিজেদের নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে : মান্না

-

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির জন্য সরকার ও আওয়ামী লীগকে দায়ী করে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক ও ডাকসুর সাবেক ভিপি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, বাংলাদেশের ঘরে ঘরে আজ পাতিল খালি। জিনিসপত্রের দাম কমবে কিভাবে? দাম বাড়ায় তো সরকার। তারা সিন্ডিকেট বানিয়েছে। দাম কমানোর জন্য সিন্ডিকেট ডাকতে হয়। দেখা যায়, সেই সিন্ডিকেটের নেতা ও সদস্যরা আওয়ামী লীগের। বাজার নিয়ন্ত্রণ করে আওয়ামী লীগের লোক। যত দোকানদার সমিতি আছে, সেগুলোতেও তাদের লোক। জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ার পেছনে চাঁদাবাজি, টোল, সিন্ডিকেট, আন্তর্জাতিক বাজারের প্রতিযোগিতা কিংবা অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের মতো যেসব কারণ চিহ্নিত হয়েছে, তার কোনো কিছুই বর্তমান সরকার নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। এর কারণ, এই সরকারের নিজের ওপরই তার কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। গতকাল শনিবার সকালে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে এক কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে মান্না এসব কথা বলেন।
দেশে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে নাগরিক যুব ঐক্য, নাগরিক নারী ঐক্য ও নাগরিক ছাত্র ঐক্য যৌথভাবে ‘বাজারের শূন্য থলে ও রান্নার শূন্য হাঁড়ি নিয়ে মানুষের দুর্দশাচিত্রের প্রতীকী উপস্থাপন’ শীর্ষক এই কর্মসূচির আয়োজন করে। এস এম এ কবীর হাসানের পরিচালনায় কর্মসূচিতে নাগরিক ঐক্যের নূর মোশাররফ, শহীদুল্লাহ কায়সার, আনিসুর রহমান, নাগরিক ছাত্রঐক্যের সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম, নাগরিক নারী ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌসী আক্তার প্রমুখ বক্তব্য দেন। কর্মসূচির স্লোগান ছিল- ‘সবকিছুর দাম বাড়ে, কমে শুধু জীবনের; ক্ষুধার্তরা অন্ন চায়, গল্প চায় না উন্নয়নের’। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকার কোনো পদক্ষেপ না নিলে এবং ঊর্ধ্বগতি চলতে থাকলে, আগামী শুক্রবার বিকেলে ফের শাহবাগে জমায়েতের ঘোষণা দেন মান্না।
কুমিল্লায় পবিত্র কুরআন অবমাননার খবরে হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনাকে একটি ‘রাজনৈতিক ব্যাপার’ মন্তব্য করে মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, এ ঘটনার জন্য আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার দায়ী। আসলে সরকার যখন মানুষ বাঁচাতে পারে না, তখন তারা নতুন নতুন নাটক করে। মানুষ যদি দ্রব্যমূল্য নিয়ে পথে নামে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা যদি ন্যায্য দাবিতে কথা বলেন! অতএব একটা না একটা কাণ্ড ঘটাতে থাকো, যাতে মানুষ ওই দিকেই বেশি ব্যস্ত থাকে। কখনো ক্যাসিনো, কখনো পাপিয়া, কখনো পরীমণি, কখনো সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা, আবার কখনো গরিব মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য নানারকম অজুহাত খোঁজে তারা।
সরকারের কড়া সমালোচনা করে মান্না বলেন, এরা মানুষকে মানুষ মনে করে না, নিজেরাও মানুষ নয়। মানুষের কান্না যেন গণমাধ্যম প্রচার না করতে পারে, তার জন্য তারা গণমাধ্যমের কণ্ঠ চেপে ধরেছে। মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য যত রকম কাজ করা যায়, সব চেষ্টাই তারা করে।
তিনি বলেন, ক্ষমতাসীনেরা উড়োজাহাজে চড়ে ঘুরে বেড়ান আর নিচে তাকালে লস অ্যাঞ্জেলেস দেখতে পান। তারা আমাদের উন্নয়নের গল্প শোনান। অথচ দেশে ক্ষুধার আগুন জ্বলে, মানুষের ঘরে খাবার নেই। একটি জিনিসও নেই, যার দাম কম। এই যে খালি কলসি, ডেকচি ও পাতিল নিয়ে সবাই এখানে এসেছেন, এটি কোনো নাটক নয়। আমাদের হাজার ডলারের মাথাপিছু আয় দেখানো হয়, অথচ আমাদের পেটে ক্ষুধার আগুন।


আরো সংবাদ



premium cement
ধুনটে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বৃদ্ধের মৃত্যু বাকৃবির এক্স রোটারেক্টরর্স ফোরামের বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠিত পাবনায় মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড, হিট স্ট্রোকে মৃত্যু ১ দাগনভুঞায় বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটুক্তির ঘটনায় আ’লীগ নেতাকে শোকজ দখলে থাকা ৪ গ্রাম আজারবাইজানকে ফিরিয়ে দেবে আর্মেনিয়া স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে স্ত্রীর আত্মহত্যা! কুলাউড়ায় ট্রেনে কাটা পড়ে নারীর মৃত্যু যেসব এলাকায় রোববার ১২ ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে পলাশ প্রেসক্লাবের সভাপতি মনা, সম্পাদক রনি তীব্র গরমে আইনজীবীদের গাউন পরতে হবে না বগুড়া পশ্চিম সাংগঠনিক জেলা জামায়াতের উদ্যোগে ভার্চুয়ালি রুকন সম্মেলন অনুষ্ঠিত

সকল