কেশবপুরে কুকুরের কামড়ে ১৩ শিশুসহ ২৫ জন আহত
প্রতিদিন আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে- কেশবপুর (যশোর) সংবাদদাতা
- ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০০:০৫
কেশবপুরে গত তিন দিনে কুকুরের কামড়ে ১৩ শিশুসহ ২৫ জন মানুষ হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন। প্রতিদিন হাসপাতালে রোগী সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। উপজেলার কড়িয়াখালি, পাঁজিয়া, বেগমপুর ও কমলাপুর কুকুরের কামড় ও আক্রমণে আহতের মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, শুধু মানুষ নয়, গরু, ছাগল, হাঁস-মুরগিও কুকুরের আক্রমণের শিকার হচ্ছে। কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, গত তিন দিনে ২৫ জন কুকুরের কামড়ে আহত হয়ে কেশবপুর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। ১৫ সেপ্টেম্বর সকাল থেকে ১৬ সেপ্টেম্বর বিকেল পর্যন্ত কুকুরের কামড়ে আহত হয়ে কেশবপুর ও মনিরামপুর উপজেলার পাঁচ গ্রামের মানুষ কেশবপুর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। কুকুরের কামড়ে আহতদের কারো হাত, পা ও মুখ ক্ষত-বিক্ষত হয়েছে।
গত ১৫ সেপ্টেম্বর ও ১৬ সেপ্টেম্বর আক্রান্তরা হলেন- মনিরামপুর উপজেলার রসুলপুর গ্রামের আবদুস সামাদ (৬০), সুফিয়া (৪০), হাবিবুর (৩৫), কেশবপুর উপজেলার কড়িয়ালি গ্রামের আয়েব আলি (৩৫), বেগমপুর গ্রামের আলামিন (৮), মোজাহিদ (৫), ইসরাফিল (১১), কমলাপুর গ্রামের জেবুন্নেছা (৫০) ও পাঁজিয়া গ্রামের আবু মুসা (৩)। কেশবপুর উপজেলা কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আনারুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন প্রতিদিনই হাসপাতালে কুকুরে কামড়ে আহত রোগীরা চিকিৎসা নিচ্ছেন। একের পর এক মানুষ কুকুরের দ্বারা আক্রান্ত হওয়ায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা ও জলাতঙ্ক রোগের টিকা দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দিচ্ছি।
কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম এম আরাফাত হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সাংবাদিকদের বলেন, ক্ষিপ্ত প্রকৃতির কুকুর পথে-ঘাটে, বাড়ি এলাকায় যাকে পাচ্ছে, তাকেই কামড় ও আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি আরো বলেন আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকায় কুকুর নিধন অভিযান পরিচালনা করা যাচ্ছে না। এসব ক্ষিপ্ত প্রকৃতির কুকুরগুলোকে ভ্যাকসিন দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। হাসপাতালে জলাতঙ্ক রোগের টিকা মজুদ রয়েছে। কুকুরকে উত্ত্যক্ত না করে সতর্কভাবে চলাচলের জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা