প্রদীপ-চুমকির আড়াই কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ
- চট্টগ্রাম ব্যুরো
- ২৯ জুলাই ২০২১, ০০:০০, আপডেট: ২৯ জুলাই ২০২১, ১০:০১
কক্সবাজারের টেকনাফ থানার বরখাস্ত হওয়া ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশের বিরুদ্ধে প্রায় আড়াই কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত অবৈধ সম্পদ অর্জনের তথ্যপ্রমাণসহ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সেই সম্পদ স্ত্রী চুমকি কারণের নামে অবৈধভাবে হস্তান্তর ও স্থানান্তর করেছেন প্রদীপ দাশ। দুদকের দাখিল করা অভিযোগপত্রে প্রদীপের সঙ্গে তার স্ত্রীকেও আসামি করা হয়েছে।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-২ এর সহকারী পরিচালক মো: রিয়াজ উদ্দিন গত সোমবার চট্টগ্রামের সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে এই অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
দুদকের কৌঁসুলি মাহমুদুল হক জানিয়েছেন, গতকাল বুধবার সকালে অভিযোগপত্রের অনুলিপি এসেছে দুদকের আইনজীবীর কাছে। ১৩ পৃষ্ঠার অভিযোগপত্রে আসামি হিসেবে আছেন এজাহারভুক্ত প্রদীপ ও চুমকি। সাক্ষী করা হয়েছে ২৯ জনকে। তিনি জানান, দুদক আইন, ২০০৪ এর ২৬ (২) ও ২৭ (১), মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪ (২) ও ৪ (৩) ধারা, ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারা এবং দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে। সেখানে ৪৯ লাখ ৫৮ হাজার ৯৫৭ টাকা সম্পদের তথ্য গোপন করে মিথ্যা তথ্য দেয়া এবং ২ কোটি ৩৫ লাখ ৯৮ হাজার ৪১৭ টাকার ‘জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ’ অর্জন ও অন্যকে হস্তান্তরের অভিযোগ আনা হয়েছে প্রদীপ ও চুমকির বিরুদ্ধে। সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানকে হত্যার অভিযোগে প্রদীপ গ্রেফতার হওয়ার পর গত বছরের ২৩ আগস্ট দুদকের সহকারী পরিচালক মো: রিয়াজ উদ্দিন বাদি হয়ে এই মামলা করেন।
অভিযোগপত্রে চুমকি কারণের নামে নগরীর কোতোয়ালি থানার পাথরঘাটায় ২ কোটি ১৭ লাখ ২৬ হাজার ৭০০ টাকা দামের ছয়তলা বাড়ি, পাঁচলাইশ থানার পশ্চিম ষোলশহর এলাকায় ১ কোটি ২৯ লাখ ৯২ হাজার ৬০০ টাকা দামের জমি এবং কক্সবাজারের ঝিলংঝা মৌজায় ১২ লাখ ৫ হাজার ১৭৫ টাকার একটি ফ্ল্যাট, ৫০ ভরি স্বর্ণ, একটি করে কার ও মাইক্রোবাস ব্যাংক হিসাবে উল্লেখ আছে। তার ৪ কোটি ৮০ লাখ ৬৪ হাজার ৬৫১ টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের বিপরীতে বৈধ ও গ্রহণযোগ্য আয় পাওয়া যায় ২ কোটি ৪৪ লাখ ৬৬ হাজার ২৩৪ টাকার। বাকি ২ কোটি ৩৫ লাখ ৯৮ হাজার ৪১৭ টাকাকে খাত আয়বহির্ভূত সম্পদ হিসাবে দেখায় দুদক। সম্পদ বিবরণীতে চুমকি কারণ নিজেকে মৎস্য ব্যবসায়ী হিসেবে উল্লেখ করে সম্পদ অর্জনের তথ্য দিয়েছিলেন। তবে অভিযোগপত্রে মাছের ব্যবসা থেকে চুমকির আয়ের কোনো তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা