কবর না খুঁড়ে ইট বিছিয়েই মৃতের দাফন
- সাতক্ষীরা সংবাদদাতা
- ১৯ জুন ২০২১, ০০:১৫
ইয়াসের প্রভাবে ভেঙে যাওয়া বেড়িবাঁধ এক জোয়ারের কারণে আরো ভাঙছে এবং প্লাবিত হচ্ছে সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়ন। ইউনিয়নের পাঁচ হাজার পরিবারের ২৫ হাজার মানুষ পানিবন্দী। এখনো নিয়মিত জোয়ার-ভাটা চলছে ইউনিয়নের ছয়টি ওয়ার্ডের বিস্তীর্ণ এলাকায়। ফলে খাওয়া-দাওয়া তো দূরের কথা, মরা মানুষের শেষ বিদায় দেয়ার মতো পরিবেশ নেই এলাকায়। মৃতদের দাফন করতে হচ্ছে বিকল্পভাবে। গত বৃহস্পতিবার প্রতাপনগরে ৬ ঘণ্টার ব্যবধানে দু’জনের মৃত্যু হয়। এই দু’জনের মধ্যে একজনকে অভিনব পন্থায় দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে।
জানা যায়, প্রতাপনগর ইউনিয়নের শহিদুল ইসলাম গাজীর ছেলে মাহমুদুল হাসান (৩৪) বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৫টায় তার কর্মস্থল কলারোয়ার বাসায় স্ট্রোকজনিত কারণে মারা যান। তার লাশ আনা হয় জন্মভূমি প্রতাপনগরে। কিন্তু প্রতাপনগরসহ আশপাশের এলাকা পানির নিচে ডুবে আছে। আসর নামাজের পর আল আমিন মহিলা আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষ মাসুম বিল্লাহ গাজীর বাড়ির সামনের রাস্তায় নামাজে জানাজা শেষে বিকল্পভাবে পারিবারিক কবরস্থানে কবর না খুঁড়ে তাকে দাফন করা হয়। জোয়ারের পানি কমে গেলে ইট বিছিয়ে তার ওপরে পলিথিন দিয়ে থরে থরে ইট সাজিয়ে মাটির পরিবর্তে কংক্রিটের কবরে সম্পন্ন করা হয়েছে দাফন।
এ দিকে প্রতাপনগর গ্রামের ডা: আক্তার হোসেনের পিতা আরশাদ আলী সানা (৭৮) বৃহস্পতিবার সকালে বার্ধক্যজনিত কারণে নিজ বাসভবনে ইন্তেকাল করেন। শুক্রবার জুমার নামাজের পর নামাজে জানাজা শেষে তাকেও বিকল্পভাবে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে বলে জানান।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা