২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

লকডাউনে পোশাক ও বস্ত্র কারখানা খোলা রাখার দাবি চার সংগঠনের ষ

-

লকডাউনে পোশাক ও বস্ত্র কারখানা খোলা রাখার দাবি জানিয়েছে তৈরী পোশাক খাতের চার সংগঠন বিজিএমইএ, বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ), বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমইএ) ও এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইএবি)। গতকাল রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁও এ সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবি জানান সংগঠন চারটির নেতৃবৃন্দ।
সংবাদ সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ বলেন, ২০১৯-২০ অর্থবছরে প্রায় ৬০০ কোটি ডলারের রফতানির আদেশ হারিয়েছে দেশের পোশাক খাত। একই সাথে চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের চেয়ে রফতানি আয় কমেছে সাড়ে ৯ শতাংশ। পাশাপাশি গত বছরের এপ্রিলে পোশাক খাতের এক হাজার ১৫০টি সদস্য প্রতিষ্ঠান ৩১৮ কোটি ডলারের কার্যাদেশ বাতিল ও স্থগিতের শিকার হয়েছে। ৯০ শতাংশ প্রত্যাহার হলেও মূল্যছাড় ও ডেফার্ড পেমেন্ট মেনে নিতে হয়েছে। এর ফলে যে ক্ষতি হয়েছে তার ধকল থেকে এ খাত আজো কাটিয়ে উঠতে পারেনি।
আগামী লকডাউনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পোশাক খাত চালু রাখার দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিজিএমইএর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোহাম্মদ আবদুস সালাম বলেন, আগামী ১৪ তারিখ থেকে দেশজুড়ে সপ্তাহব্যাপী লকডাউন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে সরকার। তবে এই লকডাউন কর্মসূচিতে পোশাক খাতকে বাইরে রাখার আবেদন জানান তিনি। তিনি আশঙ্কা করেন, গত বছর সাধারণ ছুটি এবং পরবর্তীতে দুই ঈদে শ্রমিকরা যেভাবে শহর ছেড়ে গ্রামের বাড়ি চলে গিয়েছিলেন, আমরা সে পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তির আশঙ্কা করছি। আমাদের আশঙ্কা লকডাউনের প্রথম দিন থেকেই অনেক শ্রমিক শহর ছাড়তে পারেন। এক সপ্তাহের ব্যবধানে এসব শ্রমিক যদি শহর ছাড়েন, তবে তা দেশব্যাপী সংক্রমণের ঝুঁকি বহুগুণ বাড়িয়ে দেবে। এ অবস্থায় সরকারের কাছে আমাদের আবেদন সার্বিক দিক বিবেচনায় রফতানিমুখী পোশাক খাতসহ বস্ত্র খাতের সহযোগী শিল্পগুলোকে লকডাউনের আওতামুক্ত রাখা হোক।

 


আরো সংবাদ



premium cement