২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫
`

শেরপুরের চরাঞ্চল বেবি কর্ন চাষ বাড়ছে

-

শেরপুর জেলার চরাঞ্চলের কৃষকরা পরীক্ষামূলক বেবি কর্ন চাষ করছেন। অন্য ফসলের চেয়ে কম খরচে লাভ বেশি বলেই এ সবজি চাষে আগ্রহী তারা। গবেষকরা বলছেন, বাজার তৈরি করা গেলে, উৎসাহের সাথে বাড়বে বেবি কর্ন উৎপাদন।
শেরপুরের চরাঞ্চলে বেবি কর্ন ফসলের সম্ভাব্যতা নিয়ে গবেষণা করছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডির শিক্ষার্থী শেরপুরের জমশেদ আলী মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক পার্থ সারথী কর। তিনি জানান, বাংলাদেশের চরাঞ্চলের জমির বেশির ভাগ মাটিই বেলে এবং পানি ধারণক্ষমতা কম। জমিতে জৈব পদার্থের পরিমাণ ও উর্বরতাও কম। রাসায়নিক সার সংযোজনের মাধ্যমে শস্যের উৎপাদনশীলতা উন্নত করা সম্ভব। কিন্তু রাসায়নিক সার ব্যয়বহুল। চরাঞ্চলের প্রধান ফসল হলো বোরো ও আমন ধান। তবে এ ধান আকস্মিক বন্যা ও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ক্ষেত্রে ঝুঁকিপূর্ণ। পানির ঘাটতির কারণে বোরো ধানের উৎপাদনও লাভজনক নয়। তবুও কৃষকরা খাদ্য ও গোখাদ্যের জন্য বোরো ধান চাষ করছেন। অপরপক্ষে বেবি কর্ন একটি স্বল্পমেয়াদি ও অর্থকরী ফসল হিসেবে চাষ করা যায়। ধানের চেয়ে বেবি কর্নে পানির চাহিদা তুলনামূলক কম। পোকার উপদ্রব ও রোগের সংক্রমণও কম থাকে। ফলে উৎপাদন ব্যয় কম। ৯০ থেকে ১০০ দিনের মধ্যে বেবি কর্ন সংগ্রহ করা যায়। এটি অত্যন্ত পুষ্টিকর সবজি। প্রয়োজনীয় ফাইবার ও প্রোটিন ছাড়াও বেবি কর্ন অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ। এটি সাধারণত সবজি ও সালাদে ব্যবহƒত হয়। অভিজাত চাইনিজ রেস্টুরেন্টগুলোয় বেবি কর্ন স্যুপ একটি জনপ্রিয় খাবার। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের দেশগুলোয় বেবি কর্ন অত্যন্ত জনপ্রিয় খাদ্য। এসব দেশে বেবি কর্ন চীন ও ভারত রফতানি করে। বাংলাদেশ থেকেও বেবি কর্ন রফতানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের সম্ভাবনা রয়েছে। বেবি কর্নের গাছ সবুজ থাকাবস্থায় সংগ্রহ করায় এর কাণ্ড ও পাতা গোখাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা যায়। এগুলো সাইলেজের মাধ্যমে তিন মাস থেকে পাঁচ মাস সংরক্ষণ করা যেতে পারে। এতে চরাঞ্চলের গোখাদ্যের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব বলে এ চাষের সাথে যুক্তরা জানিয়েছেন।
কৃষক আবদুল লতিফ জানান, বেবি কর্ন প্রশস্ত দূরত্বে বপন করায় দুই লাইনের মাঝে ডালজাতীয় ফসল চাষ করার সুযোগ রয়েছে। এতে আমরা একই জমি থেকে বেবি কর্ন গোখাদ্য ও ডালজাতীয় ফসলের আবাদ করতে পারছি। আমার জমিতে তিন বছর ধরে বেবি কর্ন চাষ করছি। আমি বেবি কর্ন আবাদ করে অনেক লাভবান হয়েছি।
কৃষক মজিবর মিয়া জানান, এক একর জমিতে বেবি কর্ন ফলাতে আমার খরচ পড়ে প্রায় ৪০ হাজার টাকা। আর বেবি কর্ন সবজি বিক্রি করে এক লাখ টাকার বেশি আয় করা যায়। আবার গরুর খাদ্যও পাওয়া যায়।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রফেসর ড. আবদুল কাদের বলেন, চরাঞ্চলের মাটি বেবি কর্ন চাষের জন্য খুবই উপযোগী। ধান চাষ করলে যেখানে প্রতিদিন দু’বার পানি দিতে হয়, সে ক্ষেত্রে বেবি কর্ন চাষে মৌসুমে মাত্র তিনবার পানি দিলেই হয়। তাই চরাঞ্চলের পতিত জমিতে বেবি কর্ন চাষ খুবই লাভজনক হবে। যদিও এ বেবি কর্নের এখনো পাইকারি ও খুচরা বাজার গড়ে ওঠেনি। তবে দেশের বিভিন্ন চাইনিজ ও ফাস্টফুড রেস্তোরাঁয় এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, বেবি কর্নকে সহজলভ্য করতে সরকার, বেসরকারি সংস্থা ও স্থানীয় চাইনিজ রেস্তোরাঁর মালিকদের সাথে মতবিনিময় করে এর বাজার তৈরি করা খুবই সহজ।


আরো সংবাদ



premium cement
চীনা কোম্পানি বেপজা অর্থনৈতিক জোনে ১৯.৯৭ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে মৃত মায়ের গর্ভে জন্ম নিলো নতুন প্রাণ দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যার প্রতিবাদ সমাবেশে কেউ মারা যায়নি : পুলিশ সুপার হামাসকে কাতার ছাড়তে হবে না, বিশ্বাস এরদোগানের জাহাজভাঙা শিল্পে শ্রমিক নিরাপত্তার উদ্যোগ ভালো লেগেছে : সীতাকুন্ডে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস ১০ দেশের অংশগ্রহণে সামরিক মহড়া শুরু করল আরব আমিরাত গাজা থেকে ইসরাইলি সেনা প্রত্যাহারের পর ২ হাজার ফিলিস্তিনি নিখোঁজ ৯ বছর পর সৌদি আরবে আসছে ইরানি ওমরা কাফেলা দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যা : প্রতিবাদ সমাবেশে পুলিশের হামলার নিন্দা হেফাজতে ইসলামের ভর্তি পরীক্ষায় জবিতে থাকবে ভ্রাম্যমাণ পানির ট্যাংক ও চিকিৎসক মিয়ানমার থেকে ফেরত আসা বাংলাদেশীরা কারা?

সকল