২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

প্রকৃত অপরাধী মানিককে চিহ্নিত করে প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ

-

মাদক মামলায় এক মানিকের স্থলে অন্য মানিক জেল খাটছেন অভিযোগের বিষয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী ৩০ দিনের মধ্যে শরিয়তপুরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে তদন্ত করে আদালতের প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
আদালত আদেশে শরিয়তপুরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে প্রকৃত অপরাধী মানিক মিয়াকে চিহ্নিত করে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
গতকাল বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো: খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এ ছাড়া মানিকের আটকাদেশ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা-ও জানতে চেয়ে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট।
একই সাথে সিরাজগঞ্জের স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল ও জেল সুপারকে সব তথ্য হাইকোর্টের রেজিস্ট্রারকে দেয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী পার্থ সারথী রায় ও ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়। এর আগে মাদক মামলায় এক মানিকের স্থলে অন্য মানিক জেল খাটছেনÑ এমন অভিযোগ এনে ‘নির্দোষ’ মানিককে মুক্তি দিতে রিট করা হয়।
আইনজীবীরা জানান, ২০০৯ সালে একটি গাড়িতে ৬৬৮ বোতল ফেনসিডিল পাওয়ার অভিযোগে ওই বছরের ২ জুন সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানায় চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। পরে ওই মামলার আসামি মো: মানিক মিয়াকে ২০০৯ সালের ৩ জুন গ্রেফতার করে পুলিশ। কিছু দিন কারাভোগের পর একই বছর হাইকোর্ট থেকে জামিন পান মানিক।
মামলার বিচার শেষে ২০১৯ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি সিরাজগঞ্জ আদালত রায় ঘোষণা করেন। রায়ে চার আসামিকে চার বছরের কারাদণ্ড দেন। আসামিরা হলেনÑ ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গার মন্টু শেখ ওরফে জামাল উদ্দিন ও সোহরাব হোসেন, পটুয়াখালী বাউফল থানার মো: জামাল হোসেন ও শরীয়তপুর জেলার সখিপুর থানার মো: মানিক মিয়া।
অন্য দিকে মামলার যে প্রকৃত আসামি মো: মানিক মিয়া, তার বাবার নাম ইব্রাহিম মৃধা, মায়ের নাম লুতফা বেগম। গ্রাম মালতকান্দি, সখিপুরের ৬ নম্বর ওয়ার্ড। চলতি বছরের ১৩ জানুয়ারি সাজাপ্রাপ্ত মো: মানিক মিয়ার স্থলে শুধু নামের মিল থাকার কারণে মানিক হাওলাদারকে শরীয়তপুর থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।


আরো সংবাদ



premium cement