২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

গাজীপুরে স্ত্রীকে হত্যার পর ৭ টুকরো : ঘাতকের স্বীকারোক্তি

-

গাজীপুরে গার্মেন্টকর্মী স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যার পর লাশ সাত টুকরো করার ঘটনায় নিহত রেহানা আক্তারের বড়ভাই মো: হোসাইন শহীদ বাদি হয়ে গতকাল জয়দেবপুর থানায় মামলা করেছেন। এ দিকে নিহতের স্বামী গ্রেফতারকৃত জুয়েল আহমেদকে আদালতে পাঠানো হলে সে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জয়দেবপুর থানার এসআই রাকিবুল ইসলাম জানান, স্ত্রীকে হত্যার পর সাত টুকরো করার ঘটনায় তার স্বামী জুয়েল আহমেদকে গত রোববার গ্রেফতার করে পুলিশ। সোমবার তাকে গাজীপুরের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল আদালতে হাজির করা হয়। আদালতে জুয়েল আহমেদ তার স্ত্রীকে হত্যার পর সাত টুকরো করার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করেছে। পরে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
তিনি আরো জানান, ভাইয়ের শ্যালিকা রেহানাকে বিয়ের আগে জুয়েল আরো একটি বিয়ে করে। ওই সংসারে তার একটি মেয়ে সন্তান রয়েছে। ছয় মাস আগে জুয়েল-রেহেনা ভালোবেসে পালিয়ে বিয়ে করে।
জুয়েলের আগের বিয়ের কথা জানত না রেহানা আক্তার। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে তাদের মধ্যে দাম্পত্যকলহ দেখা দেয়। পারিবারিক কলহের জেরে গত বৃহস্পতিবার রাতে জুয়েল ও রেহানার মধ্যে বাগি¦তণ্ডা হয়। এ সময় রেহানাকে মারধর করে জুয়েল। মারধরের একপর্যায়ে রেহানা জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।
এ সময় রেহানা মারা গেছে ভেবে তাকে শ্বাসরোধে মৃত্যু নিশ্চিত করে জুয়েল। পরে বাজার থেকে একটি ধারালো ছুরি কিনে আনে সে। রাতে রেহানার লাশ সাত টুকরো করে কাপড় দিয়ে পেঁচিয়ে তিনটি বস্তায় ভর্তি করে।

 


আরো সংবাদ



premium cement