২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

সাঈদ খোকনসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্ত প্রতিবেদন ২৯ এপ্রিল

-

ঢাকার ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেট-২ এ নকশাবহির্ভূত দোকান বরাদ্দে ৩৪ কোটি ৮৯ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সাবেক মেয়র সাঈদ খোকনসহ সাতজনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন ২৯ এপ্রিল। গতকাল মামলার তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কোনো প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেনি। সে জন্য ঢাকার মহানগর হাকিম শহিদুল ইসলাম মামলার নথি পর্যালোচনা করে উপরোক্ত মর্মে তারিখ ধার্য করেন।
মামলার অপর আসামিরা হলো- ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ইউসুফ আলী সরদার, সাবেক উপ-সহকারী প্রকৌশলী মাজেদ, কামরুল হাসান, হেলেনা আক্তার, আতিকুর রহমান ও ওয়ালিদ।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম আশেক ইমামের আদালতে মার্কেটের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন এ মামলা করলে ঢাকা মহানগর হাকিম আশেক ইমাম পিবিআইকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
মামলার বিবরণীতে বলা হয় আসামি সাঈদ খোকন, ইউসুফ আলী সরদার ও মাজেদ পরস্পর যোগসাজশে ফুলবাড়িয়া সিটি সুপার মার্কেট-২ এর মূল ভবনের নকশাবহির্ভূত অংশে স্থাপনা তৈরি করে দোকান বরাদ্দের ঘোষণা দেন। ঘোষণা শুনে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা দোকান বরাদ্দ নেয়ার জন্য তৎকালীন মেয়র সাঈদ খোকনের সাথে যোগাযোগ করেন। এরপর ব্যবসায়ীরা আসামি কামরুল হাসান, হেলেনা আক্তার, আতিকুর রহমান স্বপন ও ওয়ালিদের কাছে যান। তখন তারা বলেন, ‘আপনার টাকা জমাদানের ব্যবস্থা করুন। আমরা আপনাদের দোকান বরাদ্দ দিয়ে দেব।’ ফুলবাড়িয়া সিটি সুপার মার্কেট-২-এর মূল মার্কেটে যাদের নামে দোকান বরাদ্দ রয়েছে তাদেরকে আসামিরা ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ভুল বুঝিয়ে এ মার্কেটে দোকান বরাদ্দ নিতে বাধ্য করেন। আসামি সাঈদ খোকন ও মাজেদসহ অন্যরা মিলে প্রতারণা করে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন এবং ব্যবসায়ীদের নকশাবহির্ভূত দোকান বরাদ্দ দেন। এসব দোকান বরাদ্দে অনৈতিক আইনবহির্ভূত বিষয় জেনে মামলার বাদি দেলোয়ার হোসেন দুলু আসামিদের দোকান বরাদ্দের প্রক্রিয়া বন্ধ এবং ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে অনৈতিকভাবে কোটি কোটি টাকা লেনদেনে বাধা দেন। এরপর আসামিরা বাদিকে (দেলোয়ার) বিভিন্নভাবে প্রাণনাশের হুমকি দেন। বাদি নিজের ও পরিবারের কথা চিন্তা করে তাদের বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরি করতে সাহস পাননি। আসামিরা দোকান বরাদ্দের কথা বলে বিনা রসিদে কোটি কোটি টাকা গ্রহণ করেন। এরপর ভুক্তভোগীরা আইনগত প্রমাণ রেখে আসামি সাঈদ খোকনের অ্যাকাউন্টে বিভিন্ন সময় ৩৪ কোটি ৮৯ লাখ ৭০ টাকা জমা দেন। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ফজলে নূর তাপস দায়িত্ব নিয়ে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানের অংশ হিসেবে ফুলবাড়িয়া সিটি সুপার মার্কেট-২-এর এক্সটেনশন ব্লক ভেঙে উচ্ছেদ অভিযান চালান।

 


আরো সংবাদ



premium cement