পোড়া দোকানে শেষ সম্বল খোঁজার চেষ্টা ব্যবসায়ীদের
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ০১ মার্চ ২০২১, ০০:০০
রাজধানীর কাওরানবাজারে হাসিনা মার্কেটে লাগা ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মাত্র এক ঘণ্টার ব্যবধানে সর্বস্ব হারিয়ে পথে বসেছেন অনেক ব্যবসায়ী। আগুনে দোকানের পাশপাশি ক্যাশে থাকা নগদ লাখ লাখ টাকাও পুড়ে গেছে। তবে কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে গতকাল সেটি নির্ধারণ করা যায়নি। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পুড়ে যাওয়া দোকানে শেষ সম্বল খুঁজতে দেখা গেছে। সংশ্লিষ্টরা জানায়, মার্কেটের পাটাতন কাঠের তৈরি ও উপরে বাঁশ থাকায় আগুন মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে। এ ছাড়া পানির সঙ্কট থাকায় আগুন নেভাতে অনেক সময় লেগে যায়। আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে বলে জানা গেছে।
গতকাল হাসিনা মার্কেটে সরেজমিন দেখা যায়, মার্কেটটিতে মোবাইল ফোনের দোকানসহ বিভিন্ন দোকানের আসবাবপত্রের পুড়ে যাওয়া অবশিষ্ট অংশ পড়ে আছে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা দোকান পরিষ্কার ও অবশিষ্ট মালামাল সরিয়ে নিচ্ছেন। এর মধ্যে বিকাশ লেনদেনের দোকান, হোটেল, সবজির দোকান, সবজির আড়তঘর ঘর থেকে অবশিষ্ট মালামাল সরিয়ে নিতে দেখা গেছে।
ক্ষতিগ্রস্ত আড়তদার বাচ্চু খান বলেন, আগুন লাগার সময় আমি উত্তরা বিমানবন্দর এলাকায় ছিলাম। খবর পেয়ে কারওয়ান বাজারে পৌঁছে দেখি সব শেষ। তিনি বলেন, শুক্র ও শনিবার বন্ধ থাকায় ব্যাংকে টাকা রাখতে পারিনি। রোববার টাকা ব্যাংকে জমা করার কথা ছিল। কিন্তু রাতের ওই আগুনে আমার ৩৫ লাখ টাকা পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ক্যাশ বক্সের ওপরে পুড়ে যাওয়া টাকার সামনে বসে বাচ্চু কান্নাকাটি করছিলেন তিনি। বাচ্চু বলেন, এর আগেও আগুন লেগেছিল মার্কেটে। তখন গদিঘরে আগুন লাগেনি বলে আমি ভাগ্যক্রমে বেঁচে যাই।
হাসিনা মার্কেটে ৯টি দোকান পুড়ে যাওয়া আড়তদার আবদুল মান্নান বলেন, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা সবজি কিনে দোকানগুলো পরিচালনা করতাম। আগুনে সবগুলো দোকানই পুড়ে গেছে। সব মিলিয়ে প্রায় কোটি টাকার মালামাল পুড়ে গেছে বলে তার দাবি। আবদুল মান্নান বলেন, এর আগেও আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। তখন সব গুছিয়ে যখন আবার ব্যবসা করেছিলাম। কিন্তু এবারের আগুনে সব হারিয়ে আবারো পথে বসতে হলো। তবে ব্যবসার পুঁজি নগদ ৯ লাখ টাকা নিয়ে বের হতে পেরেছিলেন তিনি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা