১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নথি জালিয়াতি

আসামি নাজিমকে জামিন দেননি হাইকোর্ট, দুদকে তদন্ত করার নির্দেশ

-

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নথি জালিয়াতির ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় গণভবনের কর্মকর্তা নাজিম উদ্দিনকে জামিন দেননি হাইকোর্ট। একই সাথে নাজিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগটি দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি মো: বদরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আসামির জামিন আবেদনের শুনানি নিয়ে এ আদেশ দেন। আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা। অন্য দিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো: বশির উল্ল্যাহ।
এর আগে একই ঘটনায় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতা তরিকুল ইসলাম মমিনসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের পরিদর্শক মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
অভিযোগপত্রে উল্লিখিত আসামিরা হলেনÑ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি (বহিষ্কৃত) তরিকুল ইসলাম মমিন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মচারী ফাতেমা খাতুন, নাজিম উদ্দীন, রুবেল, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ফরহাদ হোসেন ও বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের সাবেক কোষাধ্যক্ষ এয়ার কমোডর (অব:) এম আবদুস সালাম আজাদ। এদের মধ্যে পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে এয়ার কমোডর (অব:) এম আবদুস সালাম আজাদ পলাতক রয়েছেন।
অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে কোষাধ্যক্ষ পদে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এম এনামুল হক, বুয়েটের প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো: আবদুর রউফ এবং বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের সাবেক কোষাধ্যক্ষ এয়ার কমোডর (অব:) এম আবদুস সালাম আজাদের নাম প্রস্তাব করে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে একটি সারসংক্ষেপ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়।
এই নথি প্রধানমন্ত্রীর সামনে উপস্থাপন করার পর তিনি অধ্যাপক ড. এম এনামুল হকের নামের পাশে টিক চিহ্ন দেন। পরে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য নথিটি রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানোর প্রস্তুতির সময় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অফিস সহকারী ফাতেমার কাছে ফাইল আসে। এম আবদুস সালাম আজাদ অনুমোদন পাননিÑ গোপনীয় এ তথ্য ফোনে ছাত্রলীগ নেতা তরিকুলকে জানিয়ে দেন ফাতেমা। এরপর তরিকুলের পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ১ মার্চ ফাতেমা নথিটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে কৌশলে বের করে ৪ নম্বর গেটের সামনে আসামি ফরহাদের হাতে তুলে দেন। এ কাজের জন্য ফাতেমাকে আসামিরা ১০ হাজার করে বিকাশে মোট ২০ হাজার টাকা দেয়।

 


আরো সংবাদ



premium cement