২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

উত্তর পশ্চিমাঞ্চলে প্রচণ্ড ঠাণ্ডা

বদলগাছীতে তাপমাত্রা ৬.৫ ডিগ্রি
-

মধ্যাঞ্চল অনেকটা স্বাভাবিক থাকলেও প্রচণ্ড ঠাণ্ডা পড়েছে দেশের উত্তর পশ্চিমাঞ্চলে। শৈত্যপ্রবাহের আওতাও বেড়েছে। গতকাল শুক্রবারের চেয়ে আজ শনিবার আরো কিছু অঞ্চলে শৈত্যপ্রবাহ বিস্তার লাভ করতে পারে। রাজশাহী, রংপুর, খুলনা, সিলেট, ময়মনসংিহ ও ঢাকার বিভাগের কিছু কিছু এলাকায় বেশ ঠাণ্ডা পড়েছে।
আজ সারাদিনই টাঙ্গাইল, গোপালগঞ্জ, ময়মনসিংহ, শ্রীমঙ্গল, রাজশাহী, পাবনা, নওগাঁ, যশোর, চুয়াডাঙ্গা অঞ্চলসহ রংপুর বিভাগের জেলাগুলোতে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাবে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। এসব অঞ্চলের তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে যেতে পারে। কোনো কোনো এলাকায় তাপমাত্রা ৮ ডিগ্রির নিচে নেমে যেতে পারে।
গতকাল শুক্রবার নওগাঁ জেলার বদলগাছীতে রেকর্ড করা হয়েছে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এসব অঞ্চলে চলমান শৈত্যপ্রবাহ আরো কমপক্ষে দুই দিন চলতে পারে। এ শৈত্যপ্রবাহ শেষ হবে বৃষ্টির মাধ্যমে। আগামী ২০ জানুয়ারির দিকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি হতে পারে। এর মধ্যেই আকাশ মেঘ হওয়ার কিছু জলীয় বাষ্প দক্ষিণ-পশ্চিম দিকের আরব সাগর থেকে আসতে পারে। মেঘ জমলে ভূভাগের তাপমাত্রা এমনিতেই কিছু বেড়ে যায়। উত্তপ্ত হয়ে উঠবে আবহাওয়া। ফলে দূরে হয়ে যাবে শৈত্যপ্রবাহ।
গতকাল রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রাও কমে যায় তুলনামূলকভাবে। সকাল ৯টায় রাজধানীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চলতি শীতে এটি রাজধানীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
নওগাঁয় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা : নওগাঁ সংবাদদাতা জানান, নওগাঁয় গতকাল দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার দিনাজপুরের তেঁতুলিয়ায় ৭ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। উত্তরের হিমেল বাতাসে তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে দেশের উত্তরের জেলা নওগাঁতে।
নওগাঁয় রাতে কুয়াশা ও দিনে সূর্য ওঠার কারণে কয়েক দিন ধরেই দিন ও রাতে তাপমাত্রা ওঠানামা করছে। আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষকেরা জানান, রাতভর হিমেল বাতাস প্রবাহিত হওয়ায় তাপমাত্রা কমে যাচ্ছে। এ দিকে চুয়াডাঙ্গায় গত কয়েক দিনের তুলনায় আবার কমতে শুরু করেছে তাপমাত্রা। শুক্রবার সকাল ৯টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সপ্তাহ খানেক পর আবার এক অঙ্কে নেমেছে তাপমাত্রার পারদ।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তাপমাত্রা আবার কমার আশঙ্কা রয়েছে। এ ছাড়া আগামী কয়েক দিন এ ধরনের আবহাওয়া বিরাজ করবে বলেও জানানো হয়।
শৈত্যপ্রবাহে চরম দুর্ভোগে কুড়িগ্রামের মানুষ : কুড়িগ্রাম সংবাদদাতা জানান, কুড়িগ্রামের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মৃদু শৈত্যপ্রবাহে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন কুড়িগ্রামে মানুষ। ঘন-কুয়াশার সাথে হিমেল হওয়া বাড়িয়ে দিয়েছে কনকনে ঠাণ্ডার মাত্রা। দিনের বেশির ভাগ সময় সূর্যের দেখা মিলছে না। নিম্ন আয়ের ও দিনমজুর শ্রেণীর মানুষ খড়কুটো দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে। গরম কাপড়ের অভাবে তীব্র শীত কষ্টে ভুগছেন হতদরিদ্র পরিবারের শিশু ও বৃদ্ধরা। শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াসহ নানা শীতজনিত রোগে। এ অবস্থায় সময়মতো কাজে যেতে পারছেন না শ্রমজীবী মানুষ। এতে কিছুটা বিলম্বিত হয়ে পড়ছে বোরো আবাদ।
স্থানীয় কৃষি আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়া পর্যবেক্ষক সুবল চন্দ্র জানান, জেলার ওপর ঘন কুয়াশার মেঘ থাকায় সূর্য উত্তাপ ছড়াতে পারছে না। শুক্রবার সকালে জেলার সর্বনি¤œ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।


আরো সংবাদ



premium cement