২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টায় ১১ ডেঙ্গু রোগী ভর্তি

-

এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে গতকাল শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১১ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে ঢাকায় সাতজন এবং ঢাকার বাইরে চারজন রয়েছেন। স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের তথ্যমতে, দেশের সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে বর্তমানে ৬৮ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ঢাকার হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৬১ জন। ঢাকার বাইরের হাসপাতালে ভর্তি সাতজন।
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরে এখন পর্যন্ত এক হাজার ২৩১ জন ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে এক হাজার ১৫৬ জন ইতোমধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে (আইইডিসিআর) ডেঙ্গু সন্দেহে এখন পর্যন্ত সাতটি মৃত্যুর তথ্য প্রেরিত হয়েছে। আইইডিসিআর চারটি ঘটনার পর্যালোচনা সমাপ্ত করে তিনটি মৃত্যু ডেঙ্গুজনিত বলে নিশ্চিত করেছে। গত বছর দেশে ডেঙ্গুর ভয়াবহ প্রাদুর্ভাব দেখা দেয় এবং সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে মশাবাহিত এ রোগে তখন ১৭৯ জন মারা যান।
ডেঙ্গু ছড়ায় এডিস মশার কারণে। ডেঙ্গুজ্বরের জীবাণুবাহী মশা কোনো ব্যক্তিকে কামড়ালে সেই ব্যক্তি চার থেকে ছয় দিনের মধ্যে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হন। এবার এ আক্রান্ত ব্যক্তিকে কোনো জীবাণুবিহীন এডিস মশা কামড়ালে সেই মশাটিও ডেঙ্গুজ্বরের জীবাণুবাহী মশায় পরিণত হয়। এভাবে একজন থেকে অন্যজনে মশার মাধ্যমে ডেঙ্গু ছড়িয়ে থাকে।
ডেঙ্গুতে সাধারণত তীব্র জ্বর এবং সেই সাথে শরীরে প্রচণ্ড ব্যথা হয়। জ্বর ১০৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত হয়। শরীরে বিশেষ করে হাড়, কোমর, পিঠসহ অস্থিসন্ধি ও মাংসপেশিতে তীব্র ব্যথা হয়। এ ছাড়া মাথাব্যথা ও চোখের পেছনে ব্যথা হয়। গায়ে রেশ হতে পারে। এর সাথে বমি বমিভাব হতে পারে।


আরো সংবাদ



premium cement