২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`
অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলা

পাপিয়া দম্পতির বিরুদ্ধে প্রতিবেদন ২৮ জানুয়ারি

-

অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী শামিমা নূর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল হবে আগামী ২৮ জানুয়ারি। গতকাল মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এ-সংক্রান্ত কোনো প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেননি। সে জন্য ঢাকার মহানগর সিনিয়র বিশেষ জজ কে এম ইমরুল কায়েশ মামলার নথি পর্যালোচনা করে ওই তারিখ ধার্য করেন।
উল্লেখ্য, সোয়া ছয় কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের মামলায় গত ৪ আগস্ট দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এর উপপরিচালক শাহীন আরা মমতাজ বাদি হয়ে মামলা করেন। মামলায় পাপিয়ার বিরুদ্ধে মোট ছয় কোটি ২৪ লাখ ১৮ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদের অভিযোগ আনা হয়েছে। গত ২০১৯ সালের ১২ অক্টোবর থেকে চলতি বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ওয়েস্টিন হোটেলের ২৫টি রুমে অবস্থান করে রুম-নাইট, রেস্টুরেন্ট (খাবার), রেস্টুরেন্ট (মদ), স্পা, লন্ড্রি, মিনি বার ফুড, মিনি বার বাবদ মোট তিন কোটি ২৩ লাখ ২৪ হাজার ৭৬১ টাকার বিল ক্যাশে পরিশোধ করেন পাপিয়া। ওই সময়ে ওয়েস্টিন হোটেলে থাকা অবস্থায় প্রায় ৪০ লাখ টাকার শপিং করেন, যার কোনো বৈধ উৎস দেখাতে পারেননি তিনি। এ ছাড়া ২০১৫ সালের এপ্রিল থেকে ২০২০ সালে এপ্রিল পর্যন্ত পাঁচ বছরে বাসাভাড়া বাবদ ৩০ লাখ টাকা, গাড়ির ব্যবসায় বিনিয়োগ করা এক কোটি টাকা এবং নরসিংদীতে কেএমসি কার ওয়াশ সলিউশনে বিনিয়োগ করা ২০ লাখ টাকা, বিভিন্ন ব্যাংকে তার ও তার স্বামীর নামে জমা করা ৩০ লাখ ৫২ হাজার ৯৫৮ টাকারও কোনো বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি দুদকের অনুসন্ধানে। অন্য দিকে র্যাবের অভিযানে তার বাসা থেকে ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা এবং সুমনের নামে হোন্ডা সিভিএ ২০১২ মডেলের ২২ লাখ টাকার গাড়ি উদ্ধার করা হয়। এরও কোনো বৈধ উৎস মেলেনি দুদকের অনুসন্ধানে। এভাবে মোট চয় কোটি ২৪ লাখ ১৮ হাজার ৭১৮ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ পাওয়া যায়, যা আয়ের উৎসের সপক্ষে কোনো দালিলিক প্রমাণ না পাওয়ায় পাপিয়া এবং তার স্বামীর বিরুদ্ধে দুদক আইন ২০০৪-এর ২৭(১) ধারায় এ মামলা দায়ের করা হয়।


আরো সংবাদ



premium cement