২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

-

গত ২৩ নভেম্বর দৈনিক নয়া দিগন্তের তৃতীয় পৃষ্ঠায় প্রকাশিত ‘গাজীপুরের রাজনৈতিক প্রভাবে এক মসজিদের ইমামতির অভিযোগ’ সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছে মসজিদ কমিটি। প্রতিবাদে সংবাদটি অসত্য ও কল্পনাপ্রসূত বলে দাবি করে বলা হয়েছে, আদর্শ পাড়া জামে মসজিদ নামে এলাকায় কোনো মসজিদ নেই। দেলোয়ার হোসেন নামে কেউ বায়তুল আমান জামে মসজিদ কমিটিতেও নেই। তবে তিনি সদস্য সচিব দাবি করে কিছুদিন আগে মসজিদে অনিয়ম হচ্ছে বা মসজিদ কমিটি অর্থ আত্মসাৎ করছে মর্মে একটি অভিযোগ দাখিল করলে গাজীপুর জেলা প্রশাসক, গাজীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে এ ব্যাপারে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য আদেশ দেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ইসলামী ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক গাজী আনোয়ারুল হককে সাথে নিয়ে উভয়পক্ষের লোকজন ডেকে এ ব্যাপারে তদন্ত করেন।
প্রতিবাদে উল্লেখ করা হয়, বর্তমান কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও মোতাওয়াল্লি, কোষাধ্যক্ষ, ইমাম সাহেবসহ মসজিদের সভাপতি ও অন্য কর্মকর্তারা মসজিদের যাবতীয় হিসাবপত্র ও কমিটি বিষয়ে রেজুলেশন, ব্যাংকে রক্ষিত অর্থ, চাঁদার রসিদ বইসহ যাবতীয় কাগজপত্র তদন্তকারী কর্মকর্তাদের কাছে দাখিল করেন। রেজুলেশন ও হিসাবপত্র যাচাই-বাছাই করে বর্তমান কমিটির হিসাবে কোনো গরমিল খুঁজে পাননি বলে প্রতিবাদে দাবি করা হয়।
প্রতিবাদ অনুসারে, মসজিদের অর্থ আত্মসাৎ, কমিটি বৈধতা এবং মসজিদ কমিটির হিসাবপত্র ও কমিটিসংক্রান্ত রেজুলেশন আর মোতাওয়াল্লি নিয়োগ বিষয়ে সব কার্যক্রম সঠিক আছে মর্মে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে দেলোয়ার হোসেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার তদন্ত প্রতিবেদনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে এক রিট পিটিশন দাখিল করেন। রিট পিটিশনে হাইকোর্ট বর্তমান কমিটিকে বহাল রেখে স্থিতাবস্থায় থাকার আদেশ দেন।
প্রতিবাদে বলা হয়, দেলোয়ার হোসেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মোতাওয়াল্লি, কোষাধ্যক্ষ ও ইমামকে আসামি করে ৪২০/৪০৬/৫০৬ (১১) ১০৯ ধারার মামলা করলে আদালত সদর থানাকে মামলা এফআইআর হিসেবে গ্রহণ করার আদেশ দেন। এরপর আসামিরা সিনিয়ার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করলে শুনানি অন্তে আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।

 


আরো সংবাদ



premium cement