মধুবন গ্রুপের চেয়ারম্যান আলহাজ মোহাম্মদ সোলেমানের ইন্তেকাল
- ২৩ অক্টোবর ২০২০, ০০:০০
চট্টগ্রাম তথা বাংলাদেশের স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান মধুবন গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান, বহু দ্বীনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অভিভাবক সমাজসেবক ও সমাজ সংস্কারক আলহাজ মোহাম্মদ সোলায়মান গত বুধবার রাতে বার্ধক্যজনিত রোগে ঢাকা ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর।
আলহাজ মোহাম্মদ সোলায়মান মধুবন নামে চট্টগ্রামে প্রথম মিষ্টি উৎপাদন ও বিপণনের ইন্ডাস্ট্রিজ প্রতিষ্ঠা করেন। তারই হাত ধরে আজ চট্টগ্রামসহ সারা দেশে মিষ্টির অহরহ প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে।
সাতকানিয়া উপজেলার চিববাড়ী গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। মরহুম সোলায়মান বায়তুশ শরফ দরবারের সাথে হৃদ্যতার সাথে কাজ করে গেছেন। বায়তুশ শরফের একজন একনিষ্ঠ খাদেম হিসেবে তাহার পরিচিতি কম নয়। দেশের খ্যাতিমান আলেম ওলামা ও আর্ন্তজাতিক মোফাসিসরদের সাথেই তিনি উঠাবসা করতেন। জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত ইসলামের খেদমত করে কাটিয়েছেন তিনি। নাসিরাবাদ হাউজিং সোসাইটির একজন বাসিন্দা তিনি।
তিনি নিজ গ্রামে প্রতিষ্ঠা করেছেন চিববাড়ী বায়তুশ শরফ জব্বারিয়া এতিমখানা ও হেফজখানা, দক্ষিণ চিববাড়ী মহিলা (আলিম) মাদরাসা, আল হামেদী দারুল হুফফাজ একাডেমি, বায়তুশ শরফ আল হামেদী ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট (কারিগরি প্রতিষ্ঠান)। এ ছাড়াও তিনি চট্টগ্রাম নগরীর মুরাদপুর পিলখানা জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি। আজীবন সদস্য ছিলেন তামাকুমণ্ডি লেইন বণিক সমিতি, রিয়াজ উদ্দিন বাজার, চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক হাসপাতাল, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ রোগী কল্যাণ সমিতি ও আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল। তিনি তিন ছেলে ও সাত মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-বান্ধব ও গুণগ্রাহী রেখে যান।
গতকাল বৃহস্পতিবার আসরের নামাজের পর চট্টগ্রাম বায়তুশ শরফ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে মরহুমের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। সাতকানিয়া গ্রামের বাড়িতে এশার নামাজের পর রাত ৯টায় দ্বিতীয় নামাজে জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। বিজ্ঞপ্তি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা