২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

নারীর সম্ভ্রমহানির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি নারী অধিকার আন্দোলনের

-

সিলেটের এমসি কলেজের হোস্টেলে নারীর সম্ভ্রমহানীর ঘটনাসহ সারা দেশে নারী নির্যাতন বৃদ্ধির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ এবং অপরাধীদের অবিলম্বে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন নারী অধিকার আন্দোলনের সভানেত্রী প্রফেসর চেমন আরা ও সেক্রেটারি প্রফেসর ডা: হাবিবা চৌধুরী সুইট। নারী অধিকার নেতৃদ্বয় গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন।
তারা বলেন, সম্প্রতি সিলেটের এমসি কলেজ হোস্টেলে স্বামীকে বেঁধে রেখে একজন নারীর সম্ভ্রমহানির ঘটনা বিবেকবান মানুষকে আতঙ্কিত ও সন্ত্রস্ত করে তুলেছে। এর আগে গত ২০১৬ সালে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বদরুল নামের এক ছাত্রনেতা সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের ছাত্রী খাদিজা আক্তার নার্গিসকে প্রকাশ্য দিবালোকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করেছিল। কিন্তু অপরাধের কোনো সুবিচার হয়নি। ফলে দেশে এখন নারী নির্যাতনসহ অপরাধ প্রবণতা অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছে।
তারা বলেন, দেশে যে নারী নির্যাতনের ঘটনা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে তা প্রমাণ হয় মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিস কেন্দ্রের (আসক) পরিসংখ্যান থেকে। সম্প্রতি এক পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত দেশে ৮৮৯ জন নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে ধর্ষণের পর হত্যার শিকার হয়েছে ৪১ জন। সেই হিসাবে চলতি বছর প্রতি মাসে গড়ে ১১১ জন নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। পরিসংখ্যান থেকে আরো জানা যায়, দেশে ধর্ষণসহ নারীর প্রতি সহিংসতা দিন দিন বাড়ছে। ২০১৯ সালে এক হাজার ৪১৩ নারী ধর্ষণ এবং ধর্ষণের পর হত্যার শিকার হয়েছেন ৭৬ জন। এ ছাড়া ২০১৮ সালে ৭৩২ জন এবং ২০১৭ সালে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৮১৮ নারী। মূলত বিচারহীনতার সংস্কৃতির কারণেই এমন অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে। সর্বোপরি ইসলাম ও ইসলামী মূল্যবোধের অনুপস্থিতি, বিচারকার্যে রাজনৈতিক প্রভাব, আইনের অপপ্রয়োগ, নৈতিকতা ও সামাজিক অবক্ষয় মূলত এ জন্য দায়ী। এ ছাড়া মূল্যবোধের চর্চা ও পারিবারিক শিক্ষার অভাব, আকাশ-সংস্কৃতির সর্বগ্রাসী বিস্তার এ ধরনের অপরাধের প্রবণতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হচ্ছে। তাই দেশে অপরাধ প্রবণতাসহ নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধ করতে হলে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।

 


আরো সংবাদ



premium cement