২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

নতুনরূপে রাজশাহী নগরীর ঐতিহ্যবাহী সোনাদীঘি

-

দীর্ঘ দিন পর অবশেষে রাজশাহী মহানগরীর ঐতিহ্যবাহী সোনাদীঘি নতুন রূপ পেতে যাচ্ছে। সোনাদীঘি ফিরে পাচ্ছে হারানো ঐতিহ্য। সোনাদীঘিকে এখন অন্তত তিন দিক থেকে দেখা যাবে। দীঘিকে কেন্দ্র করে গড়ে তোলা হবে হাঁটার পথসহ মসজিদ, এমফি থিয়েটার (উন্মুক্ত মঞ্চ) ও তথ্যপ্রযুক্তি পাঠাগার। এ লক্ষ্যে কাজ দ্রুত গতিতেই এগিয়ে চলেছে।
একসময় সোনাদীঘি ছিল এখানকার অন্যতম বিনোদনকেন্দ্র। সোনাদীঘির চার পাশ ছিল উন্মুক্ত। এর পানি এতটাই স্বচ্ছ ছিল যে, তা দিয়ে এলাকাবাসীর রান্নার কাজও চলত। পানিতে যাতে কেউ ময়লা ফেলতে না পারে, তা তদারকির দায়িত্বে থাকতেন রাজশাহী পৌরসভার কর্মচারীরা। পদ্মা নদীর সাথে সরাসরি সংযুক্ত ছিল দীঘি। ভরা বর্ষা মৌসুমে পদ্মার পানি ঢুকত দীঘিতে। নদীর ঘোলা পানি থিতিয়ে যাওয়ার পর দেখা মিলত স্বচ্ছ পানির। ১৯৮০-৮১ সালের দিক থেকে সোনাদীঘির চার পাশে স্থাপনা নির্মাণ শুরু হয়। ঢাকা পড়ে সোনাদীঘির মুখ। রাস্তা থেকে আর সোনাদীঘি দেখা যেত না তখন।
পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) আওতায় ‘এনা প্রপার্টিজ’ নামের একটি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের সাথে ১৬ তলাবিশিষ্ট ‘সিটি সেন্টার’ নির্মাণ ও সোনাদীঘিকে সাজানোর চুক্তি করে রাজশাহী সিটি করপোরেশন। শুরু থেকে নির্মাণকাজ এগোলেও পরবর্তী সময়ে নানা কারণে দীর্ঘ দিন কাজ বন্ধ থাকে। পরে আবার সিটি সেন্টার ও সোনাদীঘিকে সাজানোর কাজে গতি পায়। এরই ধারাবাহিকতায় ইতোমধ্যে বিভিন্ন স্থাপনা, মসজিদ ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে সোনাদীঘিকে উন্মুক্ত করা হয়েছে। বৈধ ব্যবসায়ীদের সিটি সেন্টারে পুনর্বাসন করা হয়েছে। গত ১৮ সেপ্টেম্বর সোনাদীঘি মসজিদকে সিটি সেন্টারে স্থানান্তর করা হয়। এরপর শুরু হয় স্থাপনা ভাঙার কাজ।

 


আরো সংবাদ



premium cement