২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`
যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের বিবৃতি

ঢাবি শিক্ষক ড. মোর্শেদকে চাকরিতে পুনর্বহালের দাবি

-

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খানকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয়ার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে জাতীয়তাবাদী যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল। উভয় সংগঠনের নেতারা অবিলম্বে ড. মোর্শেদ হাসান খানকে চাকরিতে পুনর্বহালের দাবি জানান।
স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান ও সেক্রেটারি আব্দুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল গতকাল এক বিবৃতিতে বলেন, মিথ্যা অভিযোগে অভিযুক্ত করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষক ও বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহপ্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খানকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ চাকরি থেকে অব্যাহতি দিয়েছে। বর্তমান হিংসাশ্রয়ী আওয়ামী সরকার মানুষের বাক-ব্যক্তি ও মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে কেড়ে নিয়ে নিষ্ঠুর একদলীয় নব্য বাকশালী রাজত্ব কায়েম করেছে। সরকারি অনাচার-অবিচার ও লুটপাটের বিরুদ্ধে কেউ যাতে প্রতিবাদ করতে সাহস না পায় সে জন্য বেপরোয়া গতিতে চলছে স্বেচ্ছাচারী দুঃশাসন।
নেতৃবৃন্দ বলেন, ভিন্নমতের মেধাবী শিক্ষকদের চাকরিচ্যুত করে তাদেরকে নিঃশেষ করার পরিকল্পনায় মেতে উঠেছে সরকার। আর এতে সরকারকে সহযোগিতা করছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এ ধরনের অমানবিক কার্যকলাপ ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রেরই বহিঃপ্রকাশ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে ড. মোর্শেদ হাসান খানকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছে। এটি নিঃসন্দেহে সরকারের প্ররোচনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ড. মোর্শেদ হাসান খানের প্রতি এ নিষ্ঠুর আচরণ।
তারা বলেন, বর্তমান সরকার ও তাদের অনুগত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন একই চেতনায় বিশ্বাসী বলেই ভিন্নমতের শিক্ষকদের অস্তিত্ব সহ্য করতে পারছে না। তাই আইন-কানুনকে পাত্তা না দিয়ে অমানবিক নীতি অবলম্বনের মাধ্যমে ভিন্নমতের শিক্ষকদের পর্যায়ক্রমে বিশ^বিদ্যালয়গুলো থেকে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে। এ ধরনের কর্মকাণ্ড কখনোই কাম্য হতে পারে না।
অপর এক বিবৃতিতে যুবদল সভাপতি সাইফুল আলম নীরব ও সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেন, শুধু দেশপ্রেমিক জাতীয়তাবাদী আদর্শে বিশ্বাসী হওয়ার কারণে আধিপত্যবাদী শক্তির পদলেহনকারী উচ্ছিষ্টভোগী কর্মে ও মননে বাকশালী চিন্তা দ্বারা প্রভাবিত কিছু চিহ্নিত নষ্ট মানুষের রোষানলের শিকার ড. মোর্শেদ। তারা বলেন, সারা দেশের নিম্ন থেকে উচ্চ শিক্ষাঙ্গনের দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার যে ভয়াবহ চিত্র সেদিকে সরকারের নজর নাই বরং উৎসাহ দিচ্ছে। একজন ভিসি তার কর্মস্থলে বছরের পর বছর যান না, প্রধানমন্ত্রীর বাবার নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেনাকাটায় চরম দুর্নীতির সাথে জড়িত শিক্ষকের কিছু হয়েছে বলে জাতি শোনেনি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসির দুর্নীতি নিয়ে তুলকালাম হলেও কোনো বিচার হয়নি, একজন প্রধান শিক্ষক দিল্লি বসে বাংলাদেশে চাকরি করেন তাদের কিছু হয়নি। শিক্ষাঙ্গনের দুর্নীতিকে আজ শিল্পে রূপ দেয়া হয়েছে।
অথচ ড. মোর্শেদ হাসান খান স্বাধীনতার মহান ঘোষককে নিয়ে ইতিহাস চর্চা করেছে বলে তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। যা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে সেভেন মার্ডারের মতো কুখ্যাত ইতিহাস হয়ে থাকবে।

 


আরো সংবাদ



premium cement
কাশ্মিরে ট্যাক্সি খাদে পড়ে নিহত ১০ অবশেষে অধিনায়কের ব্যাপারে সিদ্ধান্তে পৌঁছল পাকিস্তান জাতিসঙ্ঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থাকে আবার অর্থায়ন শুরু করবে জাপান শেখ হাসিনার অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনীতি বিএনপিকে অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে : ওবায়দুল কাদের রাশিয়া সমুদ্র তীরবর্তী রিসোর্টে ১৬.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে সিরিয়ায় ইসরাইলি হামলায় নিহত ৩৬ সেনা সদস্য দৌলতদিয়া ঘাটে পন্টুন থেকে নদীতে পড়ে যুবকের মৃত্যু অ্যানেসথেসিয়ার পুরনো ওষুধ বাতিল করে কেন নতুনের জন্য বিজ্ঞপ্তি! বাইডেনের মেয়াদে রুশ-মার্কিন সম্পর্কের উন্নতির কোনো আশা নেই : রুশ রাষ্ট্রদূত ডিএমপির অভিযানে গ্রেফতার ৪০ নিউইয়র্কে মঙ্গোলিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ফ্ল্যাট জব্দ করবে যুক্তরাষ্ট্র!

সকল