কলকাতার স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা পরিচালক ঢাবি ছাত্র
- বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
- ২১ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০০:০০
কলকাতায় অনুষ্ঠিত ‘উই ফিল স্পেশাল অ্যাওয়ার্ড আন্তর্জাতিক শর্টফিল্ম ফেস্টিভালে’ সর্বাধিক খেতাব অর্জন করেছেন বাংলাদেশের উদীয়মান ও মেধাবী চলচ্চিত্র নির্মাতা শারীফ অনির্বাণ। এ উৎসবে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে তার চারটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র সেরা হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছে।
গত শুক্রবার উৎসব আয়োজকদের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এর আগে গত বুধবার ভারতের কলকাতায় উৎসবের সমাপনী আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়।
শারীফের রিকশাচালক বাবার গল্প নিয়ে নির্মিত ‘ইনভেস্টমেন্ট’ সিনেমাটি তাকে এই উৎসবে সেরা পরিচালকের খেতাব এনে দেয়। এ ছাড়া তার অন্য তিনটি শর্টফিল্ম ‘কসমোপলিটন’, ‘ড্রিম ড্রাইভার’ এবং ‘সোনার বাংলা’ যথাক্রমে সেরা স্ক্রিপ্ট, সেরা আর্ট ডিরেকশন ও সেরা সামাজিক বার্তা প্রদানের জন্য বিজয়ী হিসেবে মনোনীত হয়।
বার্ড ল্যাবের ব্যানারে সিনেমা তিনটির প্রযোজনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইইআরের অধ্যাপক ড. মো: আবদুস সালাম। সহযোগী ও সহকারী পরিচালক হিসেবে ছিলেন, আহমেদ সালেকীন, নাঈম মাহমুদ, জিহাদুল ইসলাম বিপ্লব ও মতিয়ার রহমান।
চলচ্চিত্রগুলো নির্মাণে বিশেষভাবে সহযোগিতা করেছেন, আন্তর্জাতিক ও জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র নির্মাতা আশরাফ শিশির, কথাশিল্পী ফায়জুন্নেসা শিল্পী, ড. মো: আবদুল কাইয়ুম, মো: আজাদুল ইসলাম। এ ছাড়াও ক্যামেরার সামনে ও পেছনে কাজ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল উদ্যমী তরুণ-তরুণী।
এ উৎসবে সেরা চলচ্চিত্র হিসেবে যৌথভাবে মনোনীত হয়েছে ভারতের রজত তালুকদারের ‘মা’ ও নেদারল্যান্ডসের অগ্নিভা সেনগুপ্তের ‘তারাতুম’ সিনেমা দু’টি। ভারতের অন্যতম সামাজিক সংগঠন ‘উই ফিল সোস্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটির আয়োজনে অনুষ্ঠিত এই আন্তর্জাতিক স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র উৎসবের ব্যাপ্তি ছিল প্রায় দেড় মাস।
অনলাইনে অনুষ্ঠিত এই উৎসবে বিভিন্ন দেশের ২৬টি চলচ্চিত্রের বিভিন্ন কলাকুশলীকে সম্মাননা দেয়া হয়। সম্মাননা হিসেবে বিজয়ীদের সার্টিফিকেট ও ক্রেস্ট প্রদান করা হবে।
উই ফিল ক্রিয়েশানের নির্বাহী প্রযোজক দিপিকা বিশ্বাস জানান, শর্ট ফিল্ম এখন বিশ্বজুড়ে ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কিন্তু নবীন নির্মাতাদের মেধা ও কঠোর পরিশ্রম অনেক সময় নিরুৎসাহিত হয় বাজেট আর পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে। স্বাধীন নির্মাতাদের অনুপ্রেরণা জোগাতে এবং চলচ্চিত্রের মাধ্যমে সুখী-সমৃদ্ধ সমাজ বিনির্মাণে আমাদের এ প্রয়াস অব্যাহত থাকবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা