২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

দোহার-নবাবগঞ্জে ঠাণ্ডাজনিত রোগের প্রকোপ

-

ঢাকার দোহার ও নবাবগঞ্জে জ্বর, সর্দি, কাশিসহ ঠাণ্ডাজনিত রোগের প্রকোপ বেড়েছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানের রোগী বেড়েছে কয়েকগুণ। শিশুসহ সব বয়সের মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে। করোনা ভাইরাসের লক্ষণের মধ্যে এসব রোগের কথা উল্লেখ থাকলেও ওষুধ সেবনে মানা হচ্ছে না চিকিৎসকরে পরামর্শ। নিজের খেয়াল খুশিমতো ফার্মেসি থেকে ওষুধ নিয়ে সেবন করায় স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ছে বলে জানান অভিজ্ঞ চিকিৎসকরা।
কখনো প্রচণ্ড রোদ আবার কখনো অঝোরে বৃষ্টি। আবহাওয়ার এমন বিরূপ আচরণের ফলে গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে এই দুই উপজেলার শত শত মানুষ। বিশেষ করে যারা প্রয়োজনীয় কাজকর্মে ঘরের বাইরে অবস্থান করতে এই শ্রেণী পেশার মানুষসহ শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে। কোনো কোনো বাড়িতে পরিবারের সবাই ঠাণ্ডাজনিত রোগে ভুগছে।
প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় আতঙ্কিত রোগী ও স্বজনেরা। সর্দি কাশি হলেও করোনা পরীক্ষা করতে অনীহা দেখা যাচ্ছে। কেউ এ সপ্তাহ ধরে জ্বরে আক্রান্ত হলেও করোনা পরীক্ষা না করায় স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ছে। এ ক্ষেত্রে ওষুধ সেবনে চিকিৎসকরা একটু সতর্ক হওয়ার কথা বলতেও তা মানছেন না অনেকেই।
কয়েকজন রোগী বলেন, করোনা এখন আর নেই। যারা আক্রান্ত হচ্ছেন তারা স্বাভাবিক ঠাণ্ডাজনিত রোগে ভুগছেন বলে তাদের দাবি। করোনার বিষয়টিকে মাথায় রাখছেন না। স্বাস্থ্য সচেতন মানুষজন চিকিৎসকের পরামর্শ মতে ওষুধ সেবন করলেও অধিকাংশ রোগী চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই এন্টিহিস্টামিন ও এন্টিবায়োটিক সেবন করছে।
এ ব্যাপারে দোহার উপজেলা হাসপাতাল রোডের কয়েকজন ফার্মাসিস্ট বলেন, উপসর্গ থাকলেও করোনা পরীক্ষা ছাড়াই রোগীরা সরাসরি ফার্মেসি থেকে পেসক্রিপশন ছাড়া কেবল নাম বলেই ওষুধ নিয়ে যাচ্ছেন।
প্রচলিত আইনে প্রেসক্রিপশন ছাড়া ওষুধ বিক্রয়ে বিধিনিষেধ থাকলেও তা মানছেন না ফার্মাসিস্টরা। করোনার উপসর্গ নিয়ে রোগীর ইচ্ছে মতো ওষুধ সেবনের বিষয়টিকে একধরনের খামখেয়ালিপনা বলে আখ্যা দিচ্ছেন স্থানীয় চিকিৎসকরা। তাদের অভিমত, যেহেতু করোনা একটি প্রাণঘাতী রোগ। এ ব্যাপারে কারোই অবহেলা কিংবা তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করা ঠিক হবে না। রোগ শনাক্তের পর ওষুধ সেবন করাই শ্রেয়।
এ ব্যাপারে নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: শহিদুল ইসলাম বলেন, করোনার উপসর্গ থাকলে অন্তত আমাদের হাসপাতালের টেলিমেডিসিন সেবা চালু রয়েছে সেই নম্বরে কথা বলে স্বাস্থ্যসেবা নিতে পারেন যেকোনো রোগী।


আরো সংবাদ



premium cement