২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

মিরসরাইয়ে আউশের বাম্পার ফলনে কৃষকের হাসি

-

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে চলতি মৌসুমে আউশের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি ফলন হওয়ায় আউশ চাষে আগ্রহ বাড়ছে এখানকার কৃষকদের।
মিরসরাই উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন ও দু’টি পৌরসভায় চলতি মৌসুমে সাত হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে আউশ ধান আবাদ করা হয়। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৫ হাজার ২০০ মেট্রিক টন। উপজেলাব্যাপী লক্ষ্যমাত্রা চেয়েও বেশি উৎপাদন হবে বলে আশাবাদী।
অতীতের মতো স্থানীয় জাত ও উন্নত জাতের ধানবীজ অনেকেই বিশেষ করে চরাঞ্চলের কৃষকরা চাষাবাদ করে থাকে। ধান বীজগুলো কাজলআইল, চিনালধান, ভিন্নাতোয়া, ধলবাচাই, বৈলাম, আশ্বিনী, নাজিরআইল, বাঁধই, হলোই ধান, বাতুইধান, জিইস ধান, পাইজম ধান ইত্যাদি। সরকারি ধান বিএডিসি, বেসরকারি বীজ কোম্পানি মধ্যে সুপ্রিম সিড কোম্পানি, লালতীর, পাশাপাশি, মল্লিকা সিড, আলফা অ্যাগ্রো, ইউনাইটেট, এসিআই, অটো ক্রপকেয়ার ব্র্যান্ডের বি-৪৮, বি-২৮, বি-৪৩, বি-৭২নং ধানের বীজগুলো ভালো ফলন দিয়েছে। মূলত হাইব্রিড ধানবীজ যেকোনো মৌসুমে ভালো ফলন দিয়ে থাকে।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে এ উপজেলার কৃষক আউশ মৌসুমে স্থানীয় জাতের বীজ আবাদ করত। এ জাতের আউশ ধানের ফলন খুবই কম হওয়ায় কৃষকরা আউশ ধান আবাদে দিন দিন আগ্রহ হারাচ্ছিল। চলিত মৌসুমে আউশের বাম্পার ফলন হওয়ায় আউশ চাষে কৃষকরা আগামীতে ব্যাপকভাবে উৎসাহিত হবে বলে আশা করছে উপজেলা কৃষি অধিদফতর।
উপজেলার ৯ নং মিরসরাই সদর ইউনিয়নের গড়িয়াইশ গ্রামের (কৃষিবিষয়ক ক্লাব) আইপিএম ক্লাবের সভাপতি আউশ চাষি হানিফ ভূঁইয়া ও সজল দেবনাথ বলেন, আমাদের বাপ-দাদার আমল থেকে আমরা চাষের জমি থেকে ধানবীজ সংগ্রহ করে সাধারণ চাষাবাদ করতাম। এতে সমস্যা হলো বিভিন্ন ধরনে মিশ্রিত ধান হতো এবং ফসলও কম হতো। এখন আধুনিক চাষাবাদের সাথে তাল মিলিয়ে বিভিন্ন বেসরকারি কোম্পানির উন্নতমানের হাইব্রিড ধানবীজ সংগ্রহ করে ভালো ফলন ঘরে তুলতে সক্ষম হয়েছি।
ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের মধ্যম ওয়াহেদপুর এলাকার কৃষক জসীম উদ্দিন ও বিকাশ ভৌমিক জানান, সার, বীজ, কীটনাশকের দাম বেশি হওয়ায় উৎপাদন খরচ বেড়ে যায়। ফসল যাই হোক না কেন বিগত বছরগুলোতে কৃষক ধানের ন্যায্য দাম না পাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এবার এখনো পর্যন্ত ধানের বাজার দামও ভালো রয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রঘুনাথ সাহা বলেন, এ উপজেলার কৃষকরা আগে স্থানীয় আউশ ধানের আবাদ করত। এ বছর সরকার কৃষকদের বিভিন্ন ধরনের প্রণোদনা, বীজ, সার দিয়ে চাষিদের উৎসাহিত ও সহযোগিতা করেছে। এতে কৃষকরা উৎসাহিত হয়ে ব্যাপক চাষ করেছে এবং ভালো ফলনও হয়েছে। যে কারণে উপজেলার লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করেছে।


আরো সংবাদ



premium cement