২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

পুনরায় যাচাই-বাছাইয়ের নামে হয়রানি বন্ধের দাবি মুক্তিযোদ্ধাদের

-

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বাহিনীর ১১৩৪ জন মুক্তিযোদ্ধার নাম অযৌক্তিকভাবে তালিকা থেকে বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে, স্বাধীনতার ৫০ বছর পর মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস উপেক্ষা করে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের হয়রানিমূলক যাচাই-বাছাই বন্ধ করার দাবি জানানো হয়।
বাদ পড়া মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ড. আব্দুল ওয়াদুদ। বক্তব্যে বলা হয়, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক স্বাধীনতা পূর্ববর্তী ইপিআর এবং স্বাধীনতাযুদ্ধের পর (১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১) তৎকালীন ‘বাংলাদেশ রাইফেলস’ বর্তমান ‘বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ’ বাহিনীর মুক্তিযোদ্ধাদের যথাযথ যাচাই-বাছাইপূর্বক রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে বিভিন্ন সময় আমাদের নামে মুক্তিযোদ্ধা বাহিনী গেজেট প্রকাশ করা হয় এবং মুক্তিযোদ্ধা সম্মানী ভাতা প্রদান করা হয়। উল্লেখ্য, ২০১০ সালে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করে, যার মধ্যে আমাদের নাম অন্তর্ভুক্ত আছে।
মহান স্বাধীনতার ৫০ বছর পর মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) সুপারিশক্রমে গত ১১ নভেম্বর ২০১৯ ইং তারিখ স্মারক নং ৪৮.০২.০০০০.০০১.৩১.০৫১.১২.১৪০-এর ১৯৭১ পরবর্তী সময় তৎকালীন বাংলাদেশ রাইফেলস বর্তমান বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বাহিনীতে যোগদানকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের বাহিনী গেজেট পরিবর্তন করে বেসামরিক গেজেট করার উদ্যোগ গ্রহণ করে এবং ১৫ জানুয়ারি ২০২০ ইং তারিখের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা প্রমাণের কাগজপত্রসহ জামুকার নির্ধারিত ফরমে আবেদন জমা দিতে বলা হয়। আমরা সবাই মন্ত্রণালয়ের আদেশ অনুযায়ী সব মুক্তিযোদ্ধা প্রমাণের কাগজপত্রসহ জামুকা নির্ধারিত ফরমে ১৫ জানুয়ারি ২০২০ ইং তারিখের মধ্যে আবেদন জমা দেই এবং জামুকা থেকে সিরিয়াল নম্বরসহ রিসিভ কপি গ্রহণ করি।
অতীব দুঃখের বিষয় মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় আমাদের বেসামরিক গেজেট প্রকাশ না করে বিনা নোটিশে গত ৭ জুন ২০২০ ইং স্মারক নং ৪৮.০০.০০০০.০৪.০৪. ৩৭.০০১.২০/১৬০ তারিখে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বাহিনীর ১১৩৪ জন মুক্তিযোদ্ধার নাম অযৌক্তিকভাবে তালিকা হতে বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করেন। এমতাবস্থায় আমরা সমাজে অনেক হেয় প্রতিপন্ন হচ্ছি। এ ছাড়াও যারা বাতিল প্রজ্ঞাপনের তালিকাভুক্ত তাদের মুক্তিযোদ্ধা সম্মানী ভাতাসহ রাষ্ট্রীয় সব সুযোগ-সুবিধা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার মুক্তিযোদ্ধা সম্মানী ভাতা আমাদের অধিকাংশ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারে একমাত্র বেঁচে থাকার সম্বল, যা আজ কেড়ে নেয়া হয়েছে।
বাদ পড়া মুক্তিযোদ্ধারা পুনরায় বাচাই-বাছাইকরণ প্রক্রিয়া নামক এই প্রহসন থেকে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্ধার করে বেসামরিক গেজেট প্রকাশ করে মুক্তিযোদ্ধা সম্মানী ভাতাসহ রাষ্ট্রীয় সব সুযোগ-সুবিধা পুনরায় চালু করার দাবি জানান।


আরো সংবাদ



premium cement