২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বাবরি মসজিদের স্থানে মন্দির নির্মাণ শুরু করায় জামায়াতের উদ্বেগ

-

বাবরি মসজিদের স্থানে মন্দির নির্র্মাণকাজ শুরু করায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা: শফিকুর রহমান গতকাল এক বিবৃতিতে বলেন, ৪৬০ বছরের পুরনো ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদের স্থানে মন্দির নির্মাণকাজ শুরু করায় ভারতের মুসলমানসহ মুসলিম উম্মাহ গভীরভাবে মর্মাহত ও উদ্বিগ্ন। যারা দাবি করেছেন ‘বাবরি মসজিদের স্থানে মন্দির ছিল’ তাদের এ বক্তব্য সম্পূর্ণ অসত্য ও বিভ্রান্তিকর। ওই স্থানে খনন করে মন্দিরের কোনো চিহ্ন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। ভারতীয় প্রতœতত্ত্ববিদরা ওই স্থানে মন্দিরের কোনো নিদর্শন আবিষ্কার করতে পারেননি। বাবরি মসজিদবিষয়ক মামলায় ভারতের সুপ্রিম কোর্ট তাদের প্রদত্ত রায়ে মেনে নিয়েছেন যে, ‘পুরাতাত্ত্বিক পর্যবেক্ষণের রিপোর্টে কোনোভাবেই প্রমাণ হচ্ছে না যে, একটা মন্দিরকে ভেঙে ওখানে মসজিদ তৈরি করা হয়েছিল।’
সুপ্রিম কোর্টের যে রায়কে ভিত্তি ধরে বাবরি মসজিদের স্থানে মন্দির নির্মাণ করা হচ্ছে তা একটি বিতর্কিত ও প্রশ্নবিদ্ধ রায়। ভারতের একজন সাবেক প্রধান বিচারপতি এবং কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতিসহ একাধিক বিচারপতি সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত তাদের বক্তব্যে বলেছেন যে, ‘ইতিহাস পুনর্নির্মাণ করা আদালতের কাজ নয়। আদালত সিদ্ধান্তে পৌঁছায় অকাট্য প্রমাণ এবং প্রামাণ্য নথিপত্রের ভিত্তিতে। বাবরি মসজিদ যেখানে ছিল সেই জমিতে মন্দির তৈরির নির্দেশ সুপ্রিম কোর্ট কোনো অকাট্য প্রমাণ ও প্রামাণ্য নথিপত্রের ভিত্তিতে দেয়নি। এই রায় আইন ও সংবিধানের ভিত্তিতে দেয়া হয়নি।’
শুধু ভারত নয়, সারা বিশ্বের বিচার বিভাগের ইতিহাসে একটি ন্যায়ভ্রষ্ট ও প্রশ্নবিদ্ধ রায়কে ব্যবহার করে মন্দির বানানোর এই সিদ্ধান্ত বিশ্ববাসীকে হতবাক করেছে। নিঃসন্দেহে এটি একটি উগ্র-সাম্প্রদায়িক মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ। আমরা আশা করি, ভারত সরকার জাতিসঙ্ঘ কর্তৃক ঘোষিত ধর্মীয় ও মানবাধিকার সনদ এবং ভারতীয় মুসলমান ও মুসলিম উম্মাহর অনুভূতির প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে বাবরি মসজিদের স্থানে মন্দির নির্মাণ করা থেকে বিরত থাকবে।
কেরালায় বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের প্রতি শোক : ভারতের কেরালায় বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের প্রতি গভীর শোক প্রকাশ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার গতকাল এক শোকবাণীতে বলেন, ‘ভারতের কেরালা রাজ্যের উপকূলীয় শহর কোঝিকোড়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় দুবাই থেকে আসা একটি যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ অবতরণের সময় দুর্ঘটনার শিকার হয়। এ দুর্ঘটনায় দু’জন পাইলটসহ ২০ জন যাত্রী নিহত হয়েছেন। ১৯০ জন আরোহীর মধ্যে প্রায় সবাই আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ১১২ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ১৫ জনের অবস্থা গুরুতর বলে আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় খবর প্রচারিত হয়েছে। এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় যারা নিহত হয়েছেন, আমরা তাদের প্রতি গভীর শোক প্রকাশ করছি। নিহতদের পরিবার ও ভারত সরকারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি। বিজ্ঞপ্তি।

 


আরো সংবাদ



premium cement
থামছে না পুঁজিবাজারে পতন বিনিয়োগকারীদের আর্তনাদ ভারতের লোকসভা নির্বাচনে ভোট শুরু: নাগাল্যান্ডে ভোটার উপস্থিতি প্রায় শূন্য কারাগার এখন বিএনপি নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা: রিজভী আন্দোলনে ব্যর্থ বিএনপির হাল ধরার কেউ নেই : ওবায়দুল কাদের পাবনায় ভারতীয় চিনি বোঝাই ১২টি ট্রাকসহ ২৩ জন আটক স্বচ্ছতার সাথে সরকারি অনুদানের চলচ্চিত্র বাছাই হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী মিয়ানমার বিজিপির আরো ১৩ সদস্য পালিয়ে এলো বাংলাদেশে শ্যালকের অপকর্মে দুঃখ প্রকাশ করলেন প্রতিমন্ত্রী পলক মন্দিরে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ তুলে ২ ভাইকে হত্যা ইরানে ইসরাইলি হামলার খবরে বাড়ল তেল সোনার দাম যতই বাধা আসুক ইকামাতে দ্বীনের কাজ চালিয়ে যাবো : ডা: শফিকুর রহমান

সকল