হাসপাতালে অভিযানের পূর্বানুমতি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একাংশের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ : টিআইবি
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ০৮ আগস্ট ২০২০, ০১:০৫
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল, বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে দুর্নীতিবিরোধী অভিযান পরিচালনার আগে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পূর্বানুমতি লাগবে মর্মে সরকারি সিদ্ধান্তের আন্তরিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি গতকাল এক ভিডিও বার্তায় বলেন, এই সিদ্ধান্তের পেছনে হয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একাংশের জন্য হাসপাতালে অভিযান হলে ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে নয়তো আইন প্রয়োগকারী সংস্থার ওপর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তথা সরকারের আস্থাহীনতাই প্রকাশ পাচ্ছে।
ভিডিও বার্তায় ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে দুর্নীতিবিরোধী অভিযানের আগে প্রতিটি ক্ষেত্রে সরকারের পূর্বানুমতি লাগবে’ এই নির্দেশনাটি যেভাবেই ব্যাখ্যা হোক না কেন, এর পেছনে একাধিক উপাদান কাজ করে থাকতে পারে। প্রথম কথা হচ্ছে, পূর্বানুমতি লাগবে বলে যদি আমরা ধরেও নিই, তাহলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে একটা নির্দেশনার মাধ্যমেই তো বলে দেয়া যায় যে, আইনের ব্যত্যয় না ঘটিয়ে কার্যকরভাবে অভিযান পরিচালন করতে হবে। সেটি না করে ‘প্রতিটি ক্ষেত্রে অনুমতি লাগবে’ এর অর্থ হচ্ছে, এক দিক থেকে যারা এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় রয়েছেন তারা ভেবেছেন বা তাদের একাংশ মনে করছেন যে, চুনোপুঁটি টানাটানি করলে রুই-কাতলা বেরিয়ে আসতে পারে এবং সেটি তাদের একাংশের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। দ্বিতীয় যে উপাদনটি থাকতে পারে যেসব সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় প্রভাব রেখেছিল তাদের মধ্যে মোটেই আত্মবিশ্বাস নেই যে, তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে, স্বচ্ছতার সাথে, নৈতিকতার সাথে দুর্নীতিমুক্ত হয়ে পরিচালনা করতে পারে। যদি তাই হতো তাহলে অভিযানের জন্য পূর্বানুমতির বিষয়টি প্রয়োজন হতো না। তৃতীয় যে বিষয়টি হতবাক করার মতো সেটি হচ্ছে, সরকার বা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় একটি বিষয় প্রকারান্তরে বলে দিচ্ছে ‘আইন প্রয়োগকারী সংস্থা তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে ক্ষমতার অপব্যবহার না করে পালন করতে পারবে এ ধরনের আস্থা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নেই। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার ওপর দেশবাসীর একাংশের মধ্যে তাদের ক্ষমতার অপব্যবহার সম্পর্কে একধরনের আস্থাহীনতার সঙ্কট রয়েছেই; কিন্তু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এখন একধরনের সিল দিয়ে বলে দিলো আস্থার রাখার মতো প্রতিষ্ঠান আইন প্রয়োগকারী সংস্থা নয়।’ যাই হোক না কেন, এই অভিযানের মাধ্যমে সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের অনিয়ম-দুর্নীতির চিত্র প্রকাশের যে সুযোগ সৃষ্টি হ২েয়ছিল সেটিকে প্রতিহত করার অন্যতম উপায় হিসেবে ভাবা ছাড়া অন্য কিছু ভাবা খুবই কঠিন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা