পারটেক্সকে লাখ টাকা জরিমানা ভ্রাম্যমাণ আদালতের
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ০৭ জুলাই ২০২০, ০০:০০
রাজধানীর মহাখালীতে দেশের অন্যতম প্রধান শিল্পগোষ্ঠী পারটেক্সের কার্যালয় যেন মশার খামার। ফুলের টব, পানির বোতল, প্লাস্টিকের ড্রাম, গাড়ির টায়ার সর্বত্রই মশা আর মশা। গত বছর ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো: আতিকুল ইসলাম নিজে উপস্থিত থেকে দুই দফা অভিযান চালিয়েছিলেন। সে সময় কার্যালয় ও ভেতরে থাকা গরুর খামারকে ঘিরে এডিস মশার লার্ভার ব্যাপক উপস্থিতি পাওয়া যায়। সেজন্য জরিমানাও করে ডিএনসিসির ভ্রাম্যমাণ আদালত। একইসাথে সতর্কও করা হয় কিন্তু তাতেও কাজ হয়নি। গতকাল সোমবার তৃতীয় দফা অভিযানেও ওই শিল্পগোষ্ঠীর কার্যালয়টির সর্বত্রই এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এ কারণে ডিএনসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জুলকার নাইন পারটেক্স গ্রুপকে এক লাখ টাকা জরিমানা করেন।
গতকাল এভাবে ডিএনসিসিতে দ্বিতীয় দফা চিরুনি অভিযানের তৃতীয় দিনে মোট ১৩ হাজার ৬৮৮টি বাড়ি, স্থাপনা ও নির্মাণাধীন ভবন পরিদর্শন করে ৮৫টি স্থাপনায় এডিসের লার্ভা পাওয়া যায়। এ কারণে জরিমানা করা হয় দুই লাখ ২২ হাজার ৮০০ টাকা। এ ছাড়া ৭ হাজার ৯০৯টি বাড়ি, স্থাপনায় এডিস মশা বংশবিস্তার উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।
গত ৪ জুলাই থেকে শুরু হওয়া দ্বিতীয় ধাপের এই চিরুনি অভিযানে এ পর্যন্ত তিন দিনে মোট ৩৯ হাজার ৬০৬টি বাড়ি, স্থাপনা পরিদর্শন করে মোট ২৭৫টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায় এবং ২৪ হাজার ৪৬৭টিতে এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এই তিন দিনে মোট ৬ লাখ ৭৫ হাজার ৭০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। উত্তরা অঞ্চল-১ এর অধীনে মোট ১ হাজার ৩০১টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ১৪টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এ ছাড়া ১ হাজার ৪৫টি বাড়ি, স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। মিরপুর অঞ্চল-২ এর অধীনে মোট ২ হাজার ৯৪৫টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ৫টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায় এবং ৪৩৩টি বাড়ি, স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এ সময়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ৩টি মামলায় মোট ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। মহাখালী অঞ্চল-৩ এর অধীনে মোট ১ হাজার ৬৯৯টি বাড়ি, স্থাপনা পরিদর্শন করে ৩৪টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায় এবং ১ হাজার ১১৫টি বাড়ি, স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এ সময়ে ২০ নং ওয়ার্ডের মহাখালী এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ৪টি প্রতিষ্ঠান ও বাড়িকে ৪টি মামলায় মোট এক লাখ ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। মিরপুর ১০, অঞ্চল-৪ এর অধীনে মোট ১ হাজার ৪৯৮টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ৩টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে বাড়ির মালিকদের সতর্ক করে লার্ভা ধ্বংস করা হয়। এ ছাড়া ৮২৫টি বাড়ি, স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এ সময়ে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ২টি মামলায় মোট ১৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। কাওরান বাজার, অঞ্চল-৫ এর অধীনে মোট ২ হাজার ৩৩৯টি বাড়ি, স্থাপনা পরিদর্শন করে ১০টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এ ছাড়া ১ হাজার ৫১১টি বাড়ি, স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। হরিরামপুর, অঞ্চল-৬ এর অধীনে মোট ১হাজার ৭২৫টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ৭টিতে এডিস মশার লার্ভা লার্ভা পাওয়া যায়। এ ছাড়া ১হাজার ৩৩৬টি বাড়ি, স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। দক্ষিণখান অঞ্চল-৭ এর অধীনে মোট ২০২টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ১টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে বাড়ির মালিকদেরকে সতর্ক করে লার্ভা ধ্বংস করা হয়। এ ছাড়া ১৫১টি বাড়ি, স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। উত্তরখান অঞ্চল-৮ এর অধীনে মোট ৭১৮টি বাড়ি, স্থাপনা পরিদর্শন করে ৪টি স্থাপনায় এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায় এবং ৫২১টি বাড়ি, স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এ সময়ে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ৮টি মামলায় মোট ৫ হাজার ৩০০টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। ভাটারা অঞ্চল-৯ এর অধীনে মোট ৪৮৪টি বাড়ি, স্থাপনা পরিদর্শন করে ৪টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। বাড়ির মালিকদের সতর্ক করে লার্ভা ধ্বংস করা হয়েছে। এ ছাড়া সেখানে ৩৭৯টি বাড়ি, স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এ সময়ে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ১টি মামলায় ২ হাজার ৫০০টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
সাঁতারকুল অঞ্চল-১০ এর অধীনে মোট ৭৭৭টি বাড়ি, স্থাপনা পরিদর্শন করে ৩টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে বাড়ির মালিকদের সতর্ক করে লার্ভা ধ্বংস করা হয়। এ ছাড়া ৫৯৩টি বাড়ি, স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা