২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

তৃতীয় দিনেও বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি রফতানি বন্ধ

-

বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি রফতানি বাণিজ্য গতকাল তৃতীয় দিনও বন্ধ ছিল। আমদানি রফতানি বন্ধ থাকায় দুই বন্দর এলাকায় আটকা পড়েছে শতশত পণ্যবোঝাই ট্রাক। করোনাভাইরাসের অজুহাত দেখিয়ে ভারতের রাজ্য সরকার বাংলাদেশ থেকে রফতানি পণ্য না নেয়ায় গত বুধবার থেকে পুনরায় বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি বাণিজ্য বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশী রফতানিকারকরা। তবে বন্দরে লোড আনলোড প্রক্রিয়া স্বাভাবিক রয়েছে। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের সাথে প্রায় আড়াই মাস আমদানি-রফতানি বন্ধ থাকার পর গত ৭ জুন এ পথে ভারতীয় পণ্যের আমদানি বাণিজ্য শুরু হয়েছিল। ভারতের রাজ্য সরকার করোনাভাইরাসের নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে সাড়ে তিন মাস বাংলাদেশের সাথে রফতানি বাণিজ্য বন্ধ রেখেছে। বেনাপোল বন্দর দিয়ে রফতানি বাণিজ্য বন্ধ থাকায় প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকার বাণিজ্য ঘাটতি হয়েছে বলে কাস্টমস সূত্র জানায়। রফতানি বাণিজ্য চালু করার জন্য কাস্টমস, বন্দর,মালিক অ্যাসোসিয়েশন, স্টাফ অ্যাসোসিয়েশন সবাই মিলে নো-ম্যান্স ল্যান্ড এলাকায় ভারতীয় ব্যবসায়ীদের সাথে কয়েক দফায় বৈঠক করলেও চালু করতে পারেনি রফতানি বাংলাদেশ থেকে রফতানি পণ্য ভারত না নেয়ায় তৃতীয় দিনের মতো বেনাপোল পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি রফতানি বন্ধ থাকে। আমদানি রফতানি বন্ধ থাকায় দুই বন্দর এলাকায় আটকা পড়ে শত শত পণ্যবোঝায় ট্রাক। যার অধিকাংশই রয়েছে বাংলাদেশের শতভাগ রফতানিমুখী গার্মেন্ট শিল্পের কাঁচামাল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পচনশীল পণ্য। বেনাপোল কাস্টমসের কার্গো অফিসার নাসিদুল হক জানান, বাংলাদেশী রফতানি পণ্যের বড় বাজার প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম ভারত। বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ১৫০ থেকে ২০০ ট্রাক পণ্য রফতানি হয়ে থাকে। দেশে স্থলপথে যে রফতানি বাণিজ্য হয় যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় তার ৭০ শতাংশ হয়ে থাকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে। প্রতি বছর এ বন্দর দিয়ে প্রায় আট হাজার কোটি টাকা মূল্যের ৯ হাজার টন পণ্য ভারতে রফতানি হয়। আর ভারত থেকে প্রতিদিন ৪০০ থেকে ৫০০ শত পণ্যবাহী ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশ করে।

 


আরো সংবাদ



premium cement