২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে করোনা সেন্টারে রোগী ভর্তি শুরু

-

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩৭০ শয্যার করোনা সেন্টারে গতকাল থেকে রোগী ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ২৪ ঘণ্টা চালু থাকবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩৭০ শয্যার করোনা সেন্টারে চিকিৎসাসেবা প্রদান ও রোগী ভর্তি কার্যক্রম। গতকাল সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ১৮ জন রোগী এসেছে এবং কর্তব্যরত চিকিৎসককের পরামর্শ অনুযায়ী ছয়জন রোগী ভর্তি হয়েছে। প্রতিদিন ৩টি শিফটে ৬০ চিকিৎসক, ১০০ জন নার্স এবং সংশ্লিষ্ট প্যারামেডিক্স, ওয়ার্ডবয়, এমএলএসএসসহ ১০০ জন স্বাস্থ্যকর্মীসহ মোট ২৬০ জন জনবলের স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী টিম রোগীদের সেবায় নিয়োজিত রয়েছেন। চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীসহ মোট ২৬০ জন প্রথম এক সপ্তাহে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের সেবা প্রদান করবেন এবং পরবর্তী সপ্তাহে অন্য চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিয়ে গঠিত নতুন টিম রোগীদের সেবা প্রদান করবেন। এর আগে শনিবার ৪ জুলাই ২০২০ তারিখ সকালে কেবিন ব্লকে করোনা সেন্টার চালুর কার্যক্রম পরিদর্শন করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা: কনককান্তি বড়–য়া। এ সময় তিনি সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, চিকিৎসক, নার্স ও অন্য স্বাস্থ্যকর্মীদের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করেন। এ সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা: মুহাম্মদ রফিকুল আলম, উপউপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা: মো: জাহিদ হোসেন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা: মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা: এ বি এম আব্দুল হান্নান, প্রক্টর অধ্যাপক ডা: সৈয়দ মোজাফফর আহমেদ, পরিচালক (হাসপাতাল) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা: জুলফিকার আহমেদ আমিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
৩৭০ শয্যার মধ্যে কেবিন ব্লকে শয্যার সংখ্যা ২৫০টি এবং বেতার ভবনে শয্যার সংখ্যা ১২০টি। কেবিন ব্লকে ২৫০ শয্যার মধ্যে ইমার্জেন্সি রোগীদের জন্য রয়েছে ২৪টি শয্যা এবং আইসিইউ শয্যা সংখ্যা হলো ১৫টি। কেবিন ব্লকে সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্ল্যান্ট স্থাপন করা হয়েছে। এ ছাড়াও রোগীদের সেবা নিশ্চিত করার জন্য হাইফ্লো ন্যাসাল ক্যানুলা, নন ইনভেসিভ ভেন্টিলেটর, যেমন সি-প্যাপ, অক্সিজেন কনসানট্রেটর ইত্যাদি স্থাপন করা হয়েছে। প্রতিটি শয্যায় রয়েছে সেন্ট্রাল অক্সিজেন সাপোর্টসহ অন্যান্য চিকিৎসা সুবিধা। মূলত গুরুতর অসুস্থ রোগীরাই এখানে ভর্তি হবে। বিজ্ঞপ্তি।

 


আরো সংবাদ



premium cement