সব দেশের স্বাস্থ্য খাতই আলোচনা সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছে : তথ্যমন্ত্রী
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ০২ জুলাই ২০২০, ০০:০০
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি বলেছেন, কোনো দেশই করোনাভাইরাস মোকাবেলায় প্রস্তুত ছিল না। ফলে সবখানে পর্যদুস্ত অবস্থা হয়েছে, সব দেশের স্বাস্থ্যখাতই আলোচনা-সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছে এবং হচ্ছে।
গতকাল বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দফতরে স্বাস্থ্য খাতের দুর্নীতি প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। ড. হাছান মাহমুদ বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের দেশগুলোসহ পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোতেও উন্নত স্বাস্থ্যব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও এবং তাদের অর্থনৈতিক সঙ্গতি আমাদের চেয়েও অনেক ভালো থাকা সত্ত্বেও তারা করোনা মহামারী ঠিকভাবে সামাল দিতে পারেনি, কারণ এটার জন্য কেউ-ই এমনকি চীনও প্রস্তুত ছিল না। চীনে যে চিকিৎসক করোনাভাইরাসের বিষয়ে প্রথম সতর্কবার্তা দিয়েছিলেন, তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল ও তিনি পরে করোনা আক্রান্ত হয়েই মারা গেছেন। তিনি আরো বলেন, প্রত্যেক দেশেই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এই পরিস্থিতিতে নানাভাবে সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছে। নেদারল্যান্ডের স্বাস্থ্যমন্ত্রী তো এই পরিস্থিতি সামাল দিতে না পেরে নিজেই পদত্যাগ করেছেন। জার্মানীর একজন প্রাদেশিক মন্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন। আরো অনেক দেশেই এ ঘটনা ঘটেছে।
আমাদের দেশের সীমিত সামর্থ্য নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে এই করোনাভাইরাস মোকাবেলা করা হচ্ছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রথম দিকে যেসব অসুবিধা ছিল, সমন্বয়েও কিছুটা ঘাটতি ছিল, সেটি এখন আর নেই। এখন অনেক সমন্বিতভাবে এই করোনাভাইরাস মোকাবেলার জন্য সরকার কাজ করে যাচ্ছে এবং সে কারণে আমাদের দেশে মৃত্যুর হার পৃথিবীর যে ক’টি দেশে খুব কম তন্মধ্যে একটি। স্বাস্থ্য খাত নিয়ে সংসদে যে আলোচনা সমালোচনা হয়েছে, সেটিকে গণতন্ত্রের সৌন্দর্য হিসেবে তুলে ধরে তথ্যমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে যেভাবে আলোচনা হয়েছে, এটিই ‘বিউটি অব দ্য ডেমোক্র্যাসি’। এভাবেই গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা, গণতন্ত্র এগিয়ে যায়। আমি মনে করি সংসদের আলোচনাটি দায়িত্ব পালনে এবং গণতন্ত্রকে সংহত করার ক্ষেত্রেও সহায়ক। প্রধানমন্ত্রী কি করবেন সেটি প্রধানমন্ত্রীই বলতে পারবেন, অন্য কেউ বলার এখতিয়ার রাখে না, বলতে পারবেও না।
‘সরকার পাট খাত ধ্বংস করছে’ ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের এ বক্তব্যের প্রতি সাংবাদিকরা দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মন্ত্রী বলেন, বিএনপিই পাট খাত ধ্বংস করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছিল এবং প্রায় ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গিয়েছিল। বিএনপির আমলে বিশ্বব্যাংক-আইএমএফের পরামর্শ অনুযায়ী তারা আদমজীসহ অনেকগুলো জুট মিল বন্ধ করে দিয়েছিল, আবার অনেকগুলো শতশত কোটি টাকা মূল্যের জুট মিল কয়েক কোটি টাকায় ব্যক্তি মালিকানায় বিক্রি করে দেয়া হয়েছিল। এটি শুধু বেগম খালেদা জিয়া করেছেন তা নয়, জিয়াউর রহমানের আমল থেকে সেটি শুরু হয়েছিল। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার কোনো পাট কল বন্ধ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেনি বরং এই পাট কলগুলো ৪০ বছর ধরে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই লাভ করতে পারেনি এবং শ্রমিকরাও সঠিকভাবে বেতন পাচ্ছিল না। ফলে এই পাট খাতকে ঢেলে সাজানোর অংশ হিসেবে এবং এই পাট খাতে উন্নতির জন্য সংস্কারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। শ্রমিকদের সব দেনা-পাওনা মিটিয়ে দিয়েই তাদেরকে গোল্ডেন হ্যান্ডশেকের আওতায় আনা হচ্ছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা