২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

মেডিক্যাল সাপোর্ট না থাকায় যশোর ঢাকা রুটে বিমান চলাচল শুরু হয়নি

-

মেডিক্যাল সাপোর্ট না থাকায় যশোর-ঢাকা রুটে বিমান চলাচল শুরু করা সম্ভব হচ্ছে না। দুই মাস বন্ধ থাকার পর গত ১ জুন সরকার অভ্যন্তরীণ রুটে বিমান চলাচলের অনুমতি দেয়। এ দিকে চিকিৎসক বরাদ্দ চেয়ে মাস দুইয়েক আগেই স্বাস্থ্য অধিদফতরে চিঠি দিয়েছিল বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। কিন্তু গত এক সপ্তাহ যশোর সিভিল সার্জেন কোনো মেডিক্যাল সাপোর্ট না দেয়ায় দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলে বিমান চালু সম্ভব হয়নি। এতে খুলনা বিভাগের ১০ জেলার যাত্রীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
যশোর থেকে ঢাকায় যেতে ট্রেনে সময় লাগে আট ঘণ্টা, আর সড়কপথে লাগে (ফেরিঘাটে যানজট না থাকলে) ৬ ঘণ্টা। বিমানে ঢাকায় পৌঁছতে সময় লাগে মাত্র ৩০ মিনিট। ফ্লাইট চালু না করায় ভোগান্তি বাড়ছে দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের যাত্রীদের মধ্যে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ও ইন্টারন্যাশনাল সিভিল অ্যাভিয়েশন অর্গানাইজেশনের (আইকাও) নিয়ম অনুযায়ী প্রতিটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অত্যাধুনিক সরঞ্জামসহ একটি স্বাস্থ্যসেবা ইউনিট প্রস্তুত রাখতে হয়। একই সাথে ইউনিটটির নিকটবর্তী বড় কোনো হাসপাতালের সাথে সংযুক্তি থাকতে হয়, যাতে যেকোনো জরুরি অবস্থায় বিমানবন্দরেই প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রোগীকে তাৎক্ষণিক হাসপাতালে পাঠানো যায়।
অন্য দিকে অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট চলাচলের জন্য ব্যবহৃত বিমানবন্দরের ক্ষেত্রে এ ধরনের কোনো বাধ্যবাধকতা ছিল না এত দিন। তবে কোভিড-১৯ পাল্টে দিয়েছে সবকিছু। বর্তমান পরিস্থিতিতে যাত্রীবাহী বাণিজ্যিক ফ্লাইট উড্ডয়ন-অবতরণ করতে হলে বিমানবন্দরে অবশ্যই একজন চিকিৎসক ও মেডিক্যাল সহকারীসহ প্রাথমিক চিকিৎসার প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা রাখার নিয়ম বেঁধে দিয়েছে আইকাও।
এ বিষয়ে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ জানায়, যাত্রী সুরক্ষা নিশ্চিত করে পুনরায় ফ্লাইট চালু করার বিষয়ে সে সময় থেকেই আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছিলাম। এর অন্যতম হচ্ছে প্রতিটি বিমানবন্দরে অন্তত একজন করে চিকিৎসক, মেডিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির ব্যবস্থা করা। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় সহায়তা চেয়ে বেবিচকের পক্ষ থেকে দুই মাস আগেই স্বাস্থ্য অধিদফতরে চিঠি দেয়া হয়েছিল। এর ধারাবাহিকতায় সৈয়দপুর বিমানবন্দরের জন্য সেখানকার সিভিল সার্জন একজন চিকিৎসক দিয়েছেন। কিন্তু এখনো অভ্যন্তরীণ যশোরসহ কয়েকটি বিমানবন্দরের জন্য চিকিৎসক পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে যশোর বিমানবন্দরের ম্যানেজারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। তাকে পাওয়া না গেলেও তার ব্যবহৃত ফোন রিসিভ করে নিজের নাম ও পরিচয় না জানিয়ে একজন বলেন, ম্যানেজার ঢাকায় আছেন। কী কারণে ফ্লাইট চলছে না তা ম্যানেজার এলে জানা যাবে বলে জানান তিনি।


আরো সংবাদ



premium cement