২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

‘রেড জোন’ হিসেবে চিহ্নিত কক্সবাজারে দুই সপ্তাহের বিশেষ লকডাউন

-

দেশের প্রধান পর্যটন শহর কক্সবাজারে করোনা সংক্রমণ আতঙ্কজনকভাবে বেড়ে যাওয়ায় অবশেষে কক্সবাজার পৌরসভা এবং জেলার আরো কিছু এলাকাকে ‘রেড জোন’ হিসেবে ঘোষণা করে দুই সপ্তাহের জন্য লকডাউন দিয়েছে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন। পরিস্থিতির উন্নতি না হলে এর সময়সীমা আরো বাড়তে পারে। রেড জোন ঘোষিত এলাকা থেকে কোনো লোক বাইরে যেতে পারবেন না, আবার বাইরে থেকে কেউ প্রবেশ করতে পারবেন না।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো: কামাল হোসেন বলেন, কক্সবাজারে করোনা উদ্বেগজনকভাবে বেড়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় প্রশাসন বাধ্য হয়ে কক্সবাজারের মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে। তাই কাল শনিবার রাত ১২টা থেকে ২০ জুন পর্যন্ত কক্সবাজার শহর কঠোর লকডাউনের আওতায় থাকবে। তিনি আরো জানান, ‘রেড জোন’ হিসেবে চিহ্নিত এলাকাগুলো সম্পূর্ণরূপে অবরুদ্ধ থাকবে। লকডাউন থাকাকালে প্রয়োজনে এসব এলাকার নিম্ন আয়ের মানুষকে সরকারিভাবে খাদ্য ও চিকিৎসা সহায়তা দেয়া হবে। করোনা সংক্রমণের ঝুঁকির মাত্রা কমাতে এমন কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। জরুরি কাজের সাথে জড়িতরা রেড জোনে সীমিত আকারে আসা-যাওয়া করতে পারবেন।
কক্সবাজার পৌরসভার ১২টি ওয়ার্ডের মধ্যে শুধু ১ নম্বর ও ১২ নম্বর ওয়ার্ডকে ‘ইয়োলো জোন’ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। এর বাইরে ১০টি ওয়ার্ডকে অতিমাত্রায় করোনা সংক্রমণের ‘রেড জোন’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব স্থানে প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি করে স্বেচ্ছাসেবক কমিটি থাকবে। কক্সবাজার পৌরসভার কাউন্সিলররা কমিটির প্রধান হবেন। কমিটিতে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, সেনাবাহিনীর সদস্য, পুলিশ, স্বাস্থ্য বিভাগের প্রতিনিধিরা থাকবেন। যে দু’টি ওয়ার্ড ইয়েলো জোন হিসেবে চিহ্নিত সেখানেও সব কিছু চলবে সীমিত পরিসরে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলতে হবে সবাইকে। কক্সবাজার পৌরসভায় কোনো ওয়ার্ডকে ‘গ্রিন জোন’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়নি বলে জানান জেলা প্রশাসক। কক্সবাজার জেলায় এ পর্যন্ত ৮৮৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ১৬ জন। এরই মধ্যে একজন রোহিঙ্গা মারা গেছেন, ৩০ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।


আরো সংবাদ



premium cement