২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

স্বাস্থ্যবিধি না মানায় করোনার ঝুঁকিতে চাঁদপুর লঞ্চঘাট

-

চাঁদপুর লঞ্চঘাটে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ছে। সোমবার লঞ্চঘাটে আসা যাত্রীদের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব হয়নি। সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে যাত্রী সংখ্যা। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে সরকারের আদেশ কিংবা নিজেদের সচেতনতামূলক কোনো নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা করছে না কেউ। যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়ে হিমশিম খাচ্ছে পুলিশ ও বন্দর কর্তৃপক্ষ। করোনাভাইরাস সংক্রমরোধে যাত্রীদেরকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে যাত্রার করার আহ্বান জানালেও তা মানছে না তারা। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে পরিমিত যাত্রী নিয়ে লঞ্চগুলো ঢাকার উদ্দেশে চাঁদপুর ঘাট থেকে ছেড়ে যায়। কিন্তু বেলা বাড়ার সাথে সাথেই পাল্টে যায় দৃশ্যপট। বেলা ১১টায় ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া এমভি রফ রফ-৭ নামের যাত্রীবাহী লঞ্চে ছিল মানুষের উপচে পড়া ভিড়। কোনোভাবেই যাত্রীদের নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়নি। সকালে যাত্রীদের নিরাপত্তায় জীবাণুনাশক স্প্রে প্রদান করা হলেও, পরে ঘাটে যাত্রীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় করোনাভাইরাস রোধে কোনো ধরনের জীবাণুনাশক ওষুধ স্প্রে বা সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব হয়নি।
চাঁদপুর লঞ্চঘাটের সুপারভাইজার আলী আজগর বলেন, আমরা নিয়ম মেনে যাত্রীদের লঞ্চে উঠাচ্ছি। কোনো ধরনের অনিয়ম হচ্ছে না। অনেকসময় যাত্রীদের চাপ বেড়ে গেলে যাত্রীদের নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয় না। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে পরিমিত যাত্রী নিয়ে লঞ্চগুলো ঢাকার উদ্দেশে চাঁদপুর ঘাট থেকে ছেড়ে যায়।
চাঁদপুর লঞ্চঘাটে দায়িত্ব পালনকারী নবনিযুক্ত বিআইডব্লিøউটি- চাঁদপুর-এর বন্দর ও পরিবহন কর্মকর্তা আবুল বাশার মজুমদার বলেন, যাত্রীদের নিয়ন্ত্রণ করতে আমরা হিমশিম খাচ্ছি। লোকজন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখে লঞ্চে উঠছে। আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু ঘাটে প্রচুর যাত্রী থাকায় আমাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। তাদেরকে কোনো অবস্থাতেই কথা শোনানো যাচ্ছে না।
চাঁদপুর নৌ-থানার ওসি মো: জাহিদুল ইসলাম বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় আমরা কাজ করে যাচ্ছি। কিন্তু বেলা বাড়ার সাথে সাথে পরিস্থিতি অনেকটা খারাপ হয়ে যায়। তবুও আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাত্রীদের পরিবহনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
চাঁদপুরসহ আশপাশের বিভিন্ন জেলার যাত্রীরা এই লঞ্চঘাট ব্যবহার করে রাজধানী ঢাকায় যাত্রা করায় ভিড় কয়েক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ঝুঁকি জেনেও যাত্রীরা তাদের গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা হচ্ছে প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে। চাঁদপুর থেকে দেশের অন্তত ২০টি রুটে অর্ধশত যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল করে থাকে।


আরো সংবাদ



premium cement