২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি না মানলে ব্যবস্থা : কাদের

-

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, যেসব শর্ত বিআরটিএ ও মন্ত্রণালয়ে দেয়া হয়েছে, সেসব শর্ত যথাযথভাবে প্রতিপালনে আমি নিজেদের স্বার্থেই যাত্রী সাধারণ, মালিক ও শ্রমিক সংগঠনকে অনুরোধ জানাচ্ছি। এসব শর্ত প্রতিপালনের মাধ্যমে করোনা সংক্রমণ থেকে যানবাহন ও যাত্রীদের সুরক্ষা দিতে হবে। যেসব পরিবহন সরকারি নির্দেশনা প্রতিপালনে ব্যর্থ হবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
গতকাল শনিবার গণপরিবহন চালুর বিষয়ে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) সাথে পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের অনুষ্ঠিত সভায় দেয়া বক্তব্যে এসব কথা বলেন। সভায় সংসদ ভবনস্থ তার সরকারি বাসভবন থেকে মন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সংযুক্ত হন। ওবায়দুল কাদের বলেন, আগামীকাল থেকে সরকারি-বেসরকারি অফিস খুলছে। সরকারি ছুটির সাথে মিল রেখে বন্ধ থাকা গণপরিবহন খুলতে যাচ্ছে। আগামী সোমবার ১ জুন থেকে সড়ক পরিবহন শুরু হচ্ছে। পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সংগঠন এবং সংশ্লিষ্ট স্টেক হোল্ডারদের সাথে আমরা কথা বলেছি। গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে প্রতিপালনে সবাই সম্মতি দিয়েছে। আমরা সবাই মিলে ভালো থাকতে চাই। সামান্য উপেক্ষা ভয়াবহ বিপদ ডেকে আনতে পারে। মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের স্টেক হোল্ডারদের নিয়ে টার্মিনাল-ভিত্তিক মনিটরিং টিম গঠনের ও কাউন্সিলিংয়ের আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, সরকারি নজরদারিসহ বিআরটিএ’র মোবাইল টিম কার্যকর থাকবে। আমরা চাই না পরিবহন কিংবা টার্মিনাল করোনা সংক্রমণের কেন্দ্রে পরিণত হোক। আমি টার্মিনালগুলোর কর্তৃপক্ষকে পুরো এলাকাজুড়ে পরিচ্ছন্নতা অভিযান তথা জীবাণুমুক্ত রাখার আহ্বান জানাচ্ছি।
গণপরিবহন চলার ক্ষেত্রে শর্তগুলো তুলে ধরে কাদের বলেন, বাসগুলোতে ৫০ ভাগ যাত্রী পরিবহন করা যাবে। অর্থাৎ অর্ধেক সিট খালি রাখতে হবে। যাত্রী ওঠানামার সময় সামাজিক দূরত্ব শারীরিক দূরত্ব মেনে চলতেই হবে। যাত্রী পরিবহন, শ্রমিক, চালক, চালকের সহকারী, কাউন্টার কর্মী সবাইকে মাস্ক পরিধান বাধ্যতামূলক করতে হবে। তিনি আরো বলেন, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারসহ টার্মিনাল এবং স্টেশনে সাবান ও পানির ব্যবস্থা রাখতে হবে হাত ধোয়ার জন্য। ট্রিপ শুরু হওয়ার আগে ও পরে জীবাণুনাশক ¯েপ্র করতে হবে। অনুমোদিত নির্দিষ্ট স্টেশন ছাড়া যেখানে সেখানে থামানো যাবে না। যাত্রী ওঠানামা যত্রতত্র করা যাবে না।
ওবায়দুল কাদের বলেন, করোনা আক্রান্ত ২১৫টি দেশ ও অঞ্চলের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান এখন ২২তম। সামনে কঠিন সময় আসছে বলে অনেকে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন। এই কঠিন পরিস্থিতিতে বিশ্বের অনেক দেশ আমাদের চেয়ে খারাপ অবস্থা সত্ত্বেও লকডাউন শিথিল করেছে। কেউ কেউ তুলে নিয়েছে। জীবন রক্ষার পাশাপাশি এই সময়ে দেশের অর্থনীতিও বাঁচাতে হবে।
করোনা ভাইরাসের সঙ্কটে বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের ঢালাও সমালোচনা না করে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়ার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, এই কঠিন সময়ে প্রধানমন্ত্রী যে সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন তার ওপর আমাদের আস্থা রাখতে হবে। ঢালাও সমালোচনা না করে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিন। হতাশ হওয়ার কোনো কারণ নেই। সঙ্কটে শেখ হাসিনা সবার সাথে আছেন। আল্লাহর অশেষ রহমত এবং সবার সহযোগিতায় আমরা ঘুরে দাঁড়াব।

 


আরো সংবাদ



premium cement