২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

বেফাকের ৪৩তম কেন্দ্রীয় পরীক্ষা ঈদের পর

-

বর্তমান করোনা মহামারীর পরিপ্রেক্ষিতে বেকাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া (বাংলাদেশ কওমি মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড) কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে ৪৩তম কেন্দ্রীয় পরীক্ষা আগামী রমজানের ঈদের পর অনুষ্ঠিত হবে। নতুন সময়সূচি যথাসময়ে প্রকাশ করা হবে, ইনশা আল্লাহ।
বেফারের বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ স্থানে পরীক্ষার প্রস্তুতি অব্যাহত রাখবে। পাশাপাশি নিয়মিত সব ইবাদত, জিকরে মাসনূন, তেলাওয়াতে কুরআন, তাওবা, ইস্তিগফার এবং দরবারে ইলাহিতে কাকুতি-মিনতি করে দুয়ায় মশগুল থাকবে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও সতর্কতার প্রতি বিশেষ লক্ষ রাখবে। আল্লাহ তায়ালা আপন অনুগ্রহে আমাদেরকে এবং বিশ্ববাসীকে সব ধরনের আজাব-গজব থেকে হেফাজত করুন। আমিন।
শিক্ষকদের জন্য বিশেষ তহবিল : বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের (বাংলাদেশ কওমি মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড) অধীনে শতাধিক দাওরায়ে হাদিস মাদরাসাসহ এ দেশের প্রায় ১৪ হাজার মাদরাসা বেফাকের অধীনে পরিচালিত হচ্ছে।
করোনা মহামারীর কারণে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না থাকায় ইতোমধ্যে বেফাকভুক্ত সব মাদরাসা বাধ্যতামূলক বন্ধ ঘোষণার পাশাপাশি বেফাকের অধীনে পরিচালিত ৪৩তম কেন্দ্রীয় পরীক্ষা সাময়িক স্থগিত করা হয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বেফাক অধীনস্থ মাদরাসাগুলোর আর্থিক ও শিক্ষাব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা করছে। আকস্মিক বন্ধ ঘোষণায় অসংখ্য সম্মানিত শিক্ষক বিনা বেতনে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। বেফাকের সম্মানিত চেয়ারম্যান আল্লামা শাহ আহমদ শফী দামাত বারকাতুহুমের অনুমতিক্রমে বেফাকের মুরুব্বিগণ পরামর্শের মাধ্যমে এ সঙ্কটাপন্ন সময়ে শিক্ষকদের পাশে থাকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। এ ক্ষেত্রে বেফাক তার নিজস্ব অর্থ খাত ও জনসাধারণের সহযোগিতায় একটি তহবিল গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই মহতি কাজে প্রাধান্য পাবেন যথাক্রমে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের কওমি মাদরাসার অসচ্ছল শিক্ষকরা, পর্যায়ক্রমে জেলাভিত্তিক মাদরাসাগুলোর অসচ্ছল শিক্ষকরা।
এ লক্ষ্যে বর্তমানে কার্যকর কমিটি গঠন, তহবিল সংগ্রহ ও জেলাভিত্তিক মাদরাসার শিক্ষকদের তালিকা প্রণয়ন কাজ চলছে। বিজ্ঞপ্তি।

 


আরো সংবাদ



premium cement