কুষ্টিয়ায় আজ থেকে ওএমএস-এর চাল ঘরে ঘরে পৌঁছে দেবে স্বেচ্ছাসেবকরা
- কুুষ্টিয়া সংবাদদাতা
- ০৯ এপ্রিল ২০২০, ০০:০০
ওএমএস চাল বিতরণের দ্বিতীয় দিনে কুষ্টিয়ার ১৮টি পয়েন্ট খোলা থাকলেও তালিকা সমন্বয় না হওয়াতে চাল কিনতে পারেনি অনেকে। সরকারের দেয়া ১০ টাকা দরের চাল কিনতে গতকাল মঙ্গলবার অনেক দুস্থ ও গরিব মানুষকে শহর এবং শহরতলির বিভিন্ন ওএমএস ডিলারের ঘরে ধরনা দিতে দেখা গেছে। তালিকা চূড়ান্ত না হওয়াতে অধিকাংশ ডিলার চাল বিক্রি করতে পারেনি। তবে হাতেগোনা কয়েকটি ডিলার পয়েন্ট থেকে আগের নিয়মে অনেকে চাল কিনতে পেরেছে বলে জানা যায়। এদিকে জেলা প্রশাসনের সিদ্ধান্ত মতে আজ বৃহস্পতিবার থেকে স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে চাল ঘরে ঘরে পৌঁছে দেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। ৫ এপ্রিল থেকে ওএমএস এর চাল ১০ টাকা দরে সারা দেশের ডিলারদের মাধ্যমে বিক্রি শুরু হয়েছে। রোববার প্রথম দিন জেলা শহরের ১৮টি ডিলার পয়েন্টে এই চাল বিক্রি শুরু হয়। প্রথম দিনে জাতীয় পরিচয়পত্র দেখিয়ে চাল ক্রয় করতে পেরেছে সাধারণ মানুষ। এদিকে গত সোমবার জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসন থেকে পৌর কাউন্সিলারদের তালিকা করে চাল বিক্রির জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়। কিন্তু তালিকা নিয়ে নানা কথা উঠলে গতকাল সকালে চাল কিনতে এসে জনগণ জানতে পারে যে আগের নিয়মে এবং কাউন্সিলারদের তৈরি তালিকা মোতাবেকও চাল বিক্রি করা হবে না। এ সময় প্রতিটি পয়েন্টে শত শত দুস্থ ও অসহায় মানুষদের ব্যাগও টাকা হাতে করে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। আবার অনেকেকে বিভিন্ন পয়েন্টে ঘুরে ঘুরে চাল কেনার চেষ্টা করেও চাল কিনতে না পেরে মনোকষ্ট নিয়ে বাড়িতে ফিরে যায়। এদিকে মঙ্গলবার সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ওএমএস চাল বিক্রির জন্য প্রতি ওয়ার্ডে ১০ সদস্যের কমিটি গঠন করে তালিকা প্রস্তত করার সিদ্ধান্ত হয়। কাউন্সলারকে প্রধান করে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মী, ইমাম, সুধী ও শিক্ষকদের সমন্বয় এই কমিটি গঠন করা হবে। কমিটি প্রতিদিনের জন্য ২২৯ জনের তালিকা প্রস্তুত করবে এই তালিকা মোতাবেক প্রতি ডিলার পয়েন্টে থেকে সপ্তাহের তিন দিন ৬৮৭ জনের ঘরে চাল পৌঁছে দিয়ে নগদ টাকা নিয়ে আসবে স্বেচ্ছাসেবকরা। সপ্তাহে একজন ৫ কেজির বেশি চাল কিনতে পারবে না।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা