খুলনা অঞ্চলের ৯ জুট মিলে ক্ষতি সাড়ে ৫ কোটি টাকা
- খুলনা ব্যুরো
- ০৫ এপ্রিল ২০২০, ০০:০০
খুলনা অঞ্চলের রাষ্ট্রায়ত্ত ৯টি জুট মিল করোনার কারণে উৎপাদন বন্ধ থাকায় গত সাত দিনে সাড়ে পাঁচ কোটি টাকার অধিক লোকসান হয়েছে। আগামী ১১ এপ্রিল পর্যন্ত লোকসানের পরিমাণ দাঁড়াবে প্রায় ৯ কোটি টাকা।
এ দিকে মিলগুলোর স্থায়ী শ্রমিকরা মিল বন্ধকালীন সময়ের মজুরি-বেতনের সুবিধা লাভ করবেন। কিন্তু অস্থায়ী প্রায় ১৯ হাজার শ্রমিক মজুরি পাবেন না। বিকল্প কোনো কাজেরও সুযোগ না থাকায় বদলি শ্রমিকরা দুশ্চিন্তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন।
বাংলাদেশ জুট মিল করপোরেশন (বিজেএমসি) সূত্র জানায়, করোনাভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কায় সরকারি নির্দেশে ২৮ মার্চ থেকে ক্রিসেন্ট জুট মিল, প্লাটিনাম জুবিলি জুট মিল, খালিশপুর জুট মিল, দৌলতপুর জুট মিল, স্টার জুট মিল, ইস্টার্ন জুট মিল, আলিম জুট মিল, জেজেআই ও কারপেটিং জুট মিল বন্ধ করে দেয়া হয়। এসব জুট মিলে দৈনিক প্রায় ৮০ লাখ টাকা মূল্যের ১০০ মেট্রিকটন পাটজাত পণ্য উৎপাদন হয়। এই হিসাবে গত সাত দিনে এই ৯টি মিলের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি টাকা। আগামী ১১ এপ্রিল পর্যন্ত মিলগুলো বন্ধ থাকলে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়াবে প্রায় ৯ কোটি টাকা। বর্তমানে মিলগুলোতে প্রায় আট হাজার স্থায়ী শ্রমিক রয়েছেন। মিল বন্ধ থাকলেও স্থায়ী শ্রমিকরা তাদের মজুরি-বেতন পাবেন। তবে বিপদে পড়েছেন বদলি শ্রমিকরা। তারা কাজ থাকলে দৈনিক ভিত্তিতে নিয়োগ পান। এখন কাজ না থাকায় তাদের অর্থ পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
বাংলাদেশ রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল সিবিএ-নন সিবিএ পরিষদের কার্যকরী আহ্বায়ক ও ক্রিসেন্ট জুট মিলের শ্রমিক সোহরাব হোসেন বলেন, খুলনা অঞ্চলের রাষ্ট্রায়ত্ত ৯ জুট মিলে প্রায় ২০ হাজার বদলি শ্রমিক রয়েছে। এর মধ্যে মাত্র এক হাজার থেকে ১২শ’ শ্রমিক মিলগুলো বন্ধ হওয়ার সময় কর্মরত ছিল। এই স্বল্পসংখ্যক বদলি শ্রমিক মিল বন্ধকালীন সময়ের মজুরি সুবিধা পাবে। বাকি প্রায় ১৯ হাজার শ্রমিক কোনো মজুরি সুবিধা পাবে না। এসব বদলি শ্রমিক পরিবার-পরিজন নিয়ে চরম দুশ্চিন্তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে।
ক্রিসেন্ট জুট মিলের একজন অস্থায়ী শ্রমিক শাহাদাৎ হোসেন বলেন, দীর্ঘ দিন ধরে মিলগুলো আমাদের কোনো কাজে নিচ্ছে না। করোনাভাইরাসের কারণে বাসার বাইরে গিয়ে অন্য কাজও করতে পারছি না। বর্তমানে ছেলেমেয়ে নিয়ে আমাদের কিভাবে দিন কাটছে, তা কেবল আল্লাহই জানেন।
বিজেএমসির খুলনা অঞ্চলের লিয়াজোঁ অফিসার মো: বনিজ উদ্দিন মিঞা বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কায় সরকারি অফিস-আদালতের মতো খুলনা অঞ্চলের সব জুট মিলও বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এই জুটমিলগুলোতে হাজার হাজার শ্রমিক কাজ করে। ফলে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকিও এখানে বেশি। তবে মিলগুলো বন্ধ থাকায় সেই ঝুঁকি এখন নেই। মিলগুলো বন্ধ থাকলেও মিলের স্থায়ী শ্রমিকরা তাদের মজুরি পাবে। তিনি জানান, বন্ধের জন্য মিলগুলোর ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়াবে প্রায় ৯ কোটি টাকা। তবে মানুষের জীবনের চেয়ে এ ক্ষতি কিছুই না।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা