২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধ

সরকারের পূর্বপ্রস্তুতি ও গৃহীত ব্যবস্থার ধাপগুলো
-

করোনাভাইরাস বা কোভিড-১৯ প্রতিরোধে বাংলাদেশ সরকার দেশে এর প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ার আগে থেকেই সতর্কতার সাথে তৎপর ছিল বিধায় এখনো বিশ্বের অন্যান্য অনেক দেশের তুলনায় দেশের মানুষ অপেক্ষাকৃত ভালো অবস্থায় আছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা গত ১১ মার্চ করোনাভাইরাসকে সংক্রমণ মহামারী ঘোষণা করার অনেক আগে থেকেই সরকার নানা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। এ জন্য সরকার দিন-রাত সজাগ থেকে কাজ করে যাচ্ছে।
এ ধরনের মহামারী এর আগেও পৃথিবীতে হয়েছে। ১৭২০, ১৮২০ এমনকি ১৯২০ সালের দিকেও হয়েছে, এখন ২০২০ সালে এসেছে এই মহামারী। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার এই মহামারী মোকাবেলায় শুরু থেকেই সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়েছে। সংক্ষেপে সরকারের প্রস্তুতি ও কার্যক্রমগুলো নিচে উপস্থাপন করা হলো :
* প্রথমে যখন চীনে করোনাভাইরাস দেখা দিলো, সরকার স্বপ্রণোদিত হয়ে চীনের উহান থেকে কয়েক কোটি টাকা খরচ করে বিশেষ ফ্লাইটে অনেক বাংলাদেশীকে দেশে নিয়ে আসে এবং তাদেরকে ১৫ দিন কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়। উহান থেকে দেশে যারাই এসেছেন, তাদের সবাইকে হোম কোয়ারেন্টিনে ১৫ দিন রাখা হয়েছে। একই সাথে প্রত্যেকটা এয়ারপোর্টে মানুষের তাপমাত্রা পরিমাপের এবং করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহ হলে তাদেরকে আবার টেস্ট করার ব্যবস্থা করা হয় এবং প্রয়োজনে কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়।
* এ পর্যন্ত ৬ লাখ ৬৬ হাজার ৯৩১ জনকে বিমান, নৌ ও স্থল বন্দরে স্ক্রিনিং করা হয়েছে। এ ছাড়া ৬৩ হাজার ১৫৪ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে যার মধ্যে ৪৫ হাজার ৪২৭ জনকে পরবর্তীতে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে।
* প্রতিদিন এক হাজার সন্দেহজনক রোগীর নমুনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ইতোমধ্যে সন্দেহজনক ২ হাজার ৪১৩ জন রোগীর নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
* এর পরপরই অনএরাইভাল ভিসা বন্ধ করা হয়। সমগ্র দেশের মানুষকে সতর্ক করা হয়। প্রত্যেকটি জেলা-উপজেলা এবং ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত করোনাভাইরাস মোকাবেলা করার জন্য কমিটি গঠন করা হয়। জাতীয় কমিটি, জেলা কমিটি, উপজেলা কমিটি ও ইউনিয়ন কমিটি- এই চারটি কমিটি কাজ করছে। যারা বিদেশ থেকে এসেছে তাদের সঠিকভাবে শনাক্ত ও কোয়ারেন্টাইন করার জন্য প্রতিটি ইউনিয়নে ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বার, চৌকিদার ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে।
* কোভিড-১৯ বাংলাদেশে সংক্রমণের অনেক আগে থেকেই রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)-এর পক্ষ থেকে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়, আগাম সতর্কবার্তা, স্বাস্থ্যবার্তা- ঘন ঘন সাবান পানি দিয়ে অন্তত ২০ সেকেন্ড হাত ধোয়া, জনবহুল স্থানে মাক্স পরা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা, জনসমাগম এড়িয়ে চলা ইত্যাদি বার্তাসহ ভাইরাসের প্রকৃতি সম্পর্কে প্রতিনিয়ত জানানো হয়েছে এবং এখনো তা অব্যাহত রয়েছে।
* সারা দেশের ডাক্তার-নার্সদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে এবং আন্তর্জাতিক নিয়ম ও দেশের পরিস্থিতির আলোকে ট্রিটমেন্ট প্রটোকল গাইডলাইন প্রস্তুত করে পুস্তিকা আকারে সারা দেশে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। সব মেডিক্যাল কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। ডাক্তার ও নার্স যারা ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করবেন, তাদের জন্য প্রণোদনার ব্যবস্থা বিবেচনা করছে সরকার।
* কোয়ারেন্টিনের জন্য আশকোনা হজ্জ ক্যাম্প, উত্তরা দিয়াবাড়ির চারটি ভবন, টঙ্গী ইজতেমা মাঠকে নির্ধারণ করে সঠিকভাবে তৈরি ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় ও আর্মড ফোর্সেস ডিভিশনকে দেয়া হয়েছে। করোনা চিকিৎসার জন্য প্রত্যেক জেলায় শতাধিক বেডের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ঢাকার মোট ৮টি (আট) সরকারি হাসপাতাল যেমন- কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী, শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার, শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউট, লালকুঠি, মহানগর, রেলওয়ে, জাপান-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ এবং রিজন গ্রুপসহ চারটি বেসরকারি হাসপাতালে দুই হাজারের বেশি বেড চিকিৎসার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে।
* ইতোমধ্যে ঢাকা ও ঢাকার বাইরে মোট ১৭টি ল্যাবে করোনা টেস্ট করা হচ্ছে। এ সংশ্লিষ্ট আরো কয়েকটি পরীক্ষাকেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। করোনা পরীক্ষার জন্য ৪৫ হাজার কিট বিভিন্ন পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোতে প্রেরণ করা হয়েছে। বর্তমানে আরো ৭১ হাজার কিট মজুত রয়েছে। তিন লাখ ৬৭ হাজার পিপিই সারা দেশে ইতোমধ্যে সরবরাহ করা হয়েছে। আরো পর্যাপ্ত পরিমাণ পিপিই মজুত রয়েছে।
* বাংলাদেশে তিনজন করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার সাথে সাথেই আমাদের বহুদিনের প্রস্তুতিতে মুজিববর্ষ পালন, ১৭ মার্চের সব অনুষ্ঠান প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে বাতিল করা হয়। এই বাতিল করার পরিপ্রেক্ষিতে তখন বিএনপিসহ অনেকে অনেক সমালোচনা করেছিল কিন্তু সিদ্ধান্ত যে সঠিক ছিল, আজ সেটা প্রমাণিত। ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে, আওয়ামী লীগের সমস্ত অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে। মন্ত্রণালয়গুলোর বহিরাঙ্গনের অনুষ্ঠানগুলোর সবই বাতিল করা হয়েছে।
* প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রত্যেকটি জেলার মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেছেন এবং সবাইকে এ বিষয়ে সতর্ক করেছেন। প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী সংসদে তার বক্তৃতাতেও এ ব্যাপারে সতর্ক করেছেন।
* শুধু তাই নয়; আমাদের দেশে করোনাভাইরাস দেখা দেয়ার আগেই প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগের ওয়ার্কিং কমিটির মিটিংয়ে করোনাভাইরাস থেকে মুক্ত থাকার জন্য স্বাস্থ্যবিধি কিভাবে মেনে চলতে হবে সেটি বলেছিলেন এবং সেটিই এখন বেতার ও টেলিভিশনে দেখানো হচ্ছে । এরপর বিভিন্ন মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও তারকাদের দিয়ে অডিও ও ভিডিও ক্লিপ বানিয়ে বেতার ও টেলিভিশনে প্রচারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
* সব মোবাইলে প্রতিটি কলে এবং ভয়েস মেসেজের মাধ্যমে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে করণীয় সম্পর্কে বার্তা দেয়া হচ্ছে। প্রচার প্রচারণার জন্য লিফলেট, ব্যানার, পোস্টার, টিভি ও প্রিন্ট গণমাধ্যম ব্যবহার করা হচ্ছে। স্থানীয়ভাবে মাইকিংও করা হচ্ছে।
* প্রধানমন্ত্রী গত ২৫ মার্চ জাতির উদ্দেশে ভাষণে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে তার উদ্বেগের কথা বলেছেন। তিনি সবাইকে আতঙ্কিত না হয়ে এ বিষয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং ঘরে থাকার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান। ভাষণে তিনি পর্যাপ্ত পরীক্ষা কিট প্রাপ্যতা নিশ্চিত করার এবং করোনা পরীক্ষাকেন্দ্রের সংখ্যা বৃদ্ধি করারও ঘোষণা দেন। তিনি উল্লেখ করেন, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের ৫০০ চিকিৎসকের তালিকা প্রস্তুত রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী তার জাতির উদ্দেশে ভাষণে রফতানিমুখী পোশাক শিল্পের জন্য ৫ হাজার (পাঁচ হাজার) কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেন। প্রধানমন্ত্রী গত ১৫ মার্চ সার্কভুক্ত দেশগুলোর রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের সাথে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের সুপারিশ মেনে চলার জন্য তার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন এবং যৌথ তহবিল গঠনের জন্য ১৫ লাখ ডলার প্রদানের ঘোষণার কথা উল্লেখ করেন।
* প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৩১ মার্চ গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বক্তৃতায় করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে আসন্ন বৈশ্বিক মন্দার মোকাবেলা করার পরিকল্পনা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন। সঙ্কটের সময় যাতে দেশের চাহিদা মিটিয়ে প্রয়োজন হলে অন্য দেশকেও সহায়তা করা যায়, তার জন্য কোনো জমি যাতে অনাবাদি না থাকে, তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান। প্রধানমন্ত্রী আসন্ন নববর্ষে জনসমাবেশ না করে ডিজিটাল উপায়ে উদযাপন করার আহ্বান জানান। করোনা পরিস্থিতিতে কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগের কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্প ভালোভাবে সুরক্ষিত রাখতে হবে। শেখ হাসিনা করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে ঘোষিত ছুটির সময়ে দুর্দশাগ্রস্ত লোকদের তালিকা প্রস্তুত করে তাদের জন্য ত্রাণসামগ্রী নিশ্চিত করতে মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।
* সরকার জরুরি ক্ষেত্রগুলো বাদে জনগণের ঘরে থাকা নিশ্চিত করার জন্য প্রথম দফায় ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল এবং দ্বিতীয় দফায় ৫ এপ্রিল থেকে ১১ এপ্রিল সরকারি ছুটি ঘোষণা করে।
* মাঠপর্যায়ে প্রশাসনকে সহায়তা করার জন্য সামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
* বাংলাদেশ ব্যাংক ইতোমধ্যে ব্যবসা-বান্ধব বেশকিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক আগামী জুন মাস পর্যন্ত কোনো গ্রাহককে ঋণখেলাপি না করার ঘোষণা দিয়েছে। রফতানি আয় আদায়ের সময়সীমা ২ মাস থেকে বৃদ্ধি করে ৬ মাস করা হয়েছে। একইভাবে আমদানি ব্যয় মেটানোর সময়সীমা ৪ মাস থেকে বৃদ্ধি করে ৬ মাস করা হয়েছে। মোবাইল ব্যাংকিংয়ে আর্থিক লেনদেনের সীমা বাড়ানো হয়েছে।
* বিদ্যুৎ, পানি এবং গ্যাস বিল পরিশোধের সময়সীমা সারচার্জ বা জরিমানা ছাড়া জুন মাস পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। এনজিওগুলোর ঋণের কিস্তি পরিশোধ সাময়িক স্থগিত করা হয়েছে।
* বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকেও বাংলাদেশে সংক্রমণের আগে থেকেই করোনাভাইরাস প্রতিরোধে করণীয় সম্পর্কে সতর্কবার্তা প্রচার করা হয়ে আসছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ কমিটির মাধ্যমে করোনাপ্রতিরোধক স্বাস্থ্য কিট সরবরাহ করা হচ্ছে। জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়েও সারা দেশের আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে করোনা প্রতিরোধক স্বাস্থ্য কিট সরবরাহ ও দরিদ্রদের মধ্যে খাবার বিতরণ করা হচ্ছে।
সবকিছু ধাপে ধাপে করা হয়েছে। স্কুল হঠাৎ করে বন্ধ করা হয়নি। স্কুল বন্ধ করার আগে স্কুলের ছাত্রছাত্রীদেরকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে- করোনাভাইরাস মোকাবেলার ক্ষেত্রে কী কী করণীয়, সে সম্পর্কে ধারণা দেয়া হয়েছে। তাদেরকে অ্যাসেম্বলিতে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তারপর একটা পর্যায়ে স্কুল বন্ধ করা হয়েছে কিন্তু আবার টেলিভিশনের মাধ্যমে তাদেরকে পাঠদানের ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হয়েছে।
* গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র টেস্টিং কিট উৎপাদন করবে বলার পর তাদেরকে অনুমতি দেয়া হয়েছে।
* করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকার নিম্ন আয়ের মানুষদের জন্য ৬৪টি জেলায় এ পর্যন্ত ১১ কোটি ২৪ লাখ ৭২ হাজার ২৬৪ টাকা নগদ সাহায্য এবং ৩৯ হাজার ৬৬৭ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ করেছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বরাদ্দকৃত এ সাহায্যসামগ্রী দেশের সব জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে বিতরণ করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী সরকার করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধ ও আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা প্রদানের জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। জনগণকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, সামাজিক দূরত্ব রেখে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার জন্য পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। আশা করা যায়, সরকারি উদ্যোগ ও জনগণের সহযোগিতায় সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে দেশবাসী করোনাভাইরাস সংক্রমণের এ সঙ্কট থেকে শীঘ্রই মুক্ত হবে। পিআইডি ফিচার।

 


আরো সংবাদ



premium cement