২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

বিএনপি নেতা হযরত আলীর দ্রুত মুক্তি দাবি পরিবারের

-

শেরপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এবং বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক মো: হযরত আলীর (৫৬) দ্রুত মুক্তি চায় তার পরিবার। 

জানা গেছে, ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ২৭ আগস্ট হযরত আলীকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর তাকে বিভিন্ন কারাগারে রাখা হয়। সর্বশেষ কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে স্থানান্তর করে বর্তমানে গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি সেলে বন্দী রাখা হয়েছে তাকে। এমতাবস্থায় সরকারপ্রধানের কাছে তার পরিবারের দাবি, করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে জেলখানায় তার জীবনাশঙ্কার কথা চিন্তা করে মানবিক কারণে অবিলম্বে হযরত আলীকে মুক্তি দেয়া হোক।

হযরত আলীর সহধর্মিণী নিলুফা খানম এই প্রতিবেদককে জানান, তার স্বামীকে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে আজ ১৯ মাসের বেশি সময় ধরে কারাগারে বন্দী রাখা হয়েছে। তার কোনো অপরাধ নেই; মূলত তিনি রাজনীতি করেন এবং ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক। এসবই তার জন্য কাল হয়েছে। তিনি রাজনৈতিক প্রতিহিংসাজনিত কারণে বিনা বিচারে আটক আছেন। এখন তিনি শারীরিকভাবে খুবই অসুস্থ। শরীরের ওজন কমে গেছে।  এমনিতেই তিনি দীর্ঘ দিন ধরে ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, চর্মরোগে ভুগছেন। বর্তমানে তার রক্তে গ্লুকোজ ওঠা-নামা করছে। তার জীবন নিয়ে শঙ্কা তৈরি হচ্ছে। তা ছাড়া তিনি যে মামলায় বর্তমানে কারাবন্দী আছেন সেই মামলার সাতজন আসামির মধ্যে তিনি ছাড়া বাকি ছয়জন আসামি জামিনে কারাগারের বাইরে আছেন। অথচ কোর্টে হযরত আলীর মুক্তির জন্য বারবার জামিনের আবেদন করা হলেও তাকে জামিন দেয়া হয়নি। যেহেতু জামিনের মাধ্যমে তাকে মুক্ত করা সম্ভব হচ্ছে না তাই সরকারপ্রধানের কাছে আকুল আবেদন যেন তাকে দ্রুত মুক্তি দেয়া হয়।

নিলুফা খানম সরকারপ্রধানের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, বর্তমানে বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাস উচ্চ ঝুঁঁকিসম্পন্ন রোগীদের মৃত্যুর কারণ। কাজেই মুক্তির ব্যাপারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সদয় দৃষ্টি আর্কষণ করছি। বর্তমান করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে তাকে (হযরত আলী) যেকোনো শর্তসাপেক্ষে অবিলম্বে জামিন দেয়া হোক।

 


আরো সংবাদ



premium cement