রাজশাহীতে খাস জমিতে বাড়ি পাচ্ছেন ষাটোর্ধ্ব সেই বৃদ্ধ
- রাজশাহী ব্যুরো
- ৩০ মার্চ ২০২০, ০০:৩৯
রাজশাহীতে পেটের দায়ে নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও সড়কে নামা সেই ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধকে খুঁজে বের করেছেন জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা। তাকে সরকারি খাস জমিতে বাড়ি করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে। নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও ঘর থেকে বের হয়ে গত শুক্রবার বিকেলে রাজশাহী জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো: হামিদুল হকের দৃষ্টিতে পড়েছিলেন বৃদ্ধ আতাবুর রহমান। পরে জেলা প্রশাসক ব্যক্তিগতভাবে তাকে আর্থিক সহযোগিতা করেন এবং বাড়ি থেকে ঝুঁকি নিয়ে বের না হওয়ার জন্য অনুরোধ জানান। এ ঘটনার পর রাজশাহীর তানোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুশান্ত কুমার মাহাতো শনিবার ওই বৃদ্ধকে খুঁজে বের করেন। এ সময় জেলা প্রশাসকের বরাত দিয়ে ওই বৃদ্ধকে ইউএনও জানান, বসবাসের জন্য শিগগিরই সরকারি খাস জমিতে তাকে একটি বাড়ি করে দেয়া হবে।
এরপর তার কার্যালয়ে নিয়ে আতাবুরের হাতে নতুন জামা-কাপড় ও চাল-ডালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় কিছু সামগ্রী তুলে দেন ইউএনও।
তানোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুশান্ত কুমার মাহাতো সাংবাদিকদের বলেন, জেলা প্রশাসক স্যারের নির্দেশে তার পরিচয় উদ্ধার করি। তিনি খুব অসহায়। কখনো কাগজ কুড়িয়ে, আবার কখনো ভিক্ষা করে তিনি সংসার চালান। বিষয়গুলো জানার পর ডিসি স্যারকে অবহিত করি। স্যারের নির্দেশ মতো তাকে নতুন জামা-কাপড় ও চাল-ডালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় বেশ কিছু বাজার করে দেয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে তাকে সরকারি সহায়তায় নগদ অর্থ এবং খাস জায়গায় বাড়ি নির্মাণও করে দেয়া হবে বলে জানান তিনি।
বৃদ্ধ আতাবুরের বাড়ি রাজশাহীর তানোর পৌরসভার বড়কুঠি এলাকায়। শুক্রবার বিকেলে উপজেলা সদরে কাগজ কুড়াচ্ছিলেন তিনি। এ সময় তার দিকে এগিয়ে যায় পুলিশ। সাথে ছিলেন জেলা প্রশাসক হামিদুল হকও। ভীতসন্ত্রস্ত আতাবুর ডিসিকে দেখেই নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও বাড়ির বাইরে বের হওয়ার জন্য করজোড় করে ক্ষমা চান। আবেগাপ্লুত হয়ে জেলা প্রশাসক তখন চাল-ডাল কেনার টাকা দিয়ে ওই বৃদ্ধকে বাড়ি পাঠান।
পরে ফেসবুকে একটি ছবি পোস্ট করে বিষয়টির বিবরণ দেন ডিসি হামিদুল হক নিজেই। তার ওই পোস্টটি পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা