দিনাজপুরে আওয়ামী লীগ নেতার জুট মিলে বিক্ষোভে গুলি : নিহত ১

দিনাজপুর বিরলে আওয়ামী লীগ নেতার জুট মিলে বকেয়া বেতনের দাবিতে আন্দোলনকারী শ্রমিকদের ওপর পুলিশের গুলিতে এক পান দোকানদার নিহত ও তিন শ্রমিক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। পুলিশের লাঠিচার্জে কমপক্ষে আরো ১৫ শ্রমিক আহত হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ দুইজনকে বিরল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং একজনকে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহত পান দোকানদারের নাম সুরত আলী (৪০)। তিনি বিরল পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের হুসনা গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে। আহত শ্রমিক রাজ কুমারকে দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসাপাতালে এবং রায়হান ও ইব্রাহীমকে বিরল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মিলের মালিক বিরল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল লতিফ করোনার কারণে মিল বন্ধ ঘোষণা করেন। কিন্তু শ্রমিকদের বেশ কিছু বেতন বকেয়া থাকলেও সে ব্যাপারে কিছু বলেননি। বকেয়া বেতনের দাবিতে বুধবার বিকেল থেকে শ্রমিকরা আন্দোলন শুরু করে। শ্রমিকদের কারো চার সপ্তাহের কারো তিন সপ্তাহের বেতন বকেয়া রয়েছে। মিল কর্তৃপক্ষ মাত্র পাঁচ দিনের বেতন দিতে চায়, আর শ্রমিকরা মিল বন্ধের আগে পুরো বকেয়া বেতন চায়। এ নিয়ে শ্রমিকদের সাথে কর্তৃপক্ষের কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির সূত্রপাত হয়। মুহূর্তের এ ঘটনা শ্রমিকদের মাঝে তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি করে। এক পর্যায়ে মালিকপক্ষ কোনো বেতন দেবে না বলে সাফ জানিয়ে দিলে শ্রমিকরা রাত ৮টার পর মিলে ভাঙচুর শুরু করে। মালিকপক্ষ পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করে। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে পুলিশ গুলি চালায়। এতে ঘটনাস্থলেই গুলিবিদ্ধ হয়ে সুরত আলী মারা যায়। বিরল থানার ওসি শেখ নাসিম হাবিব একজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।