২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সালমান শাহর অপমৃত্যুর মামলার প্রতিবেদন আদালতে

-

চিত্রনায়ক সালমান শাহর অপমৃত্যুর মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দিয়েছে পিবিআই। গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক সিরাজুল ইসলাম বাবুল ঢাকার সিএমএম আদালতে এ প্রতিবেদন দাখিল করেন।
প্রসঙ্গত, ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর সালমান শাহকে ঢাকার নিজ বাসায় তার শয়নকক্ষে ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। তাকে প্রথমে হলি ফ্যামিলি ও পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় তার পিতা বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেন।
সালমান শাহ হত্যা মামলার আসামিরা ছিলেনÑ আজিজ মোহাম্মদ ভাই, সামিরা হক, লতিফা হক লুসি, রেজভী আহমেদ ওরফে ফরহাদ, নজরুল শেখ, ডেভিড, আশরাফুল হক ডন, রাবেয়া সুলতানা রুবি, মোস্তাক ওয়াইদ, আবুল হোসেন খান ও মনোয়ারা বেগম।
পিবিআইর প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, বাংলা চলচ্চিত্রের ব্যাপক জনপ্রিয় অভিনেতা সালমান শাহ হত্যাকাণ্ডের শিকার হননি, তিনি পারিবারিক কলহের জেরে আত্মহত্যা করেছিলেন। পিবিআই কর্তৃক তদন্তকালে ঘটনার সময় উপস্থিত ও ঘটনায় সংশ্লিষ্ট ৪৪ সাক্ষীর জবানবন্দী ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬১ ধারায় লিপিবদ্ধ করা হয়। ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় লিপিবদ্ধ করা হয়। পাশাপাশি ঘটনাসংশ্লিষ্ট আলামত জব্দ করা হয়। এসব বিষয় পর্যালোচনায় দেখা যায়, চিত্রনায়ক সালমান শাহ পারিবারিক কলহের জেরে আত্মহত্যা করেছেন। হত্যার অভিযোগের কোনো প্রমাণ মেলেনি। তবে পিবিআইয়ের তদন্ত প্রতিবেদন অনুসারে সালমান শাহর আত্মহত্যার পাঁচটি কারণ উল্লেখ করা হয়েছে। সেগুলো হলোÑ চিত্রনায়িকা শাবনূরের সাথে সালমানের অতিরিক্ত অন্তরঙ্গতা; স্ত্রী সামিরার সাথে দাম্পত্য কলহ; মাত্রাধিক আবেগপ্রবণতার কারণে একাধিকবার আত্মঘাতী হওয়ার বা আত্মহত্যার চেষ্টা; মায়ের প্রতি অসীম ভালোবাসা ও জটিল সম্পর্কের বেড়াজালে পড়ে পুঞ্জীভূত অভিমানে রূপ নেয়া এবং সন্তান না হওয়ায় দাম্পত্য জীবনে অপূর্ণতা।
চলচ্চিত্রে জনপ্রিয়তার সর্বোচ্চ শিখরে থাকাকালে ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর মারা যান চিত্রনায়ক চৌধুরী মোহাম্মদ শাহরিয়ার (ইমন) ওরফে সালমান শাহ। ওই ঘটনায় তখন অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করেন তার বাবা কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী। পরে ১৯৯৭ সালের ২৪ জুলাই ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে অভিযোগ করে মামলাটিকে হত্যা মামলায় রূপান্তরিত করার আবেদন জানান তিনি। এর পরিপ্রেক্ষিতে অপমৃত্যু মামলার সাথে হত্যাকাণ্ডের অভিযোগের বিষয়টি একসাথে তদন্ত করতে অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) নির্দেশ দেন আদালত।


আরো সংবাদ



premium cement

সকল