১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

শ্লীলতাহানি মামলায় সাক্ষ্য দিতে না আসায় ৩ সাক্ষীকে দণ্ড

-

শ্লীলতাহানির মামলায় সাক্ষ্য দিতে আদালতে না আসায় মামলার ভিকটিমসহ তিন সাক্ষীকে ২৫০ টাকা জরিমানা, টাকা অনাদায়ে ১৫ দিনের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। মামলায় সাক্ষীদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা ইস্যুর আদেশ দিয়েছেন আদালত। ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৬ এর বিচারক এ আদেশ দেন।
যাদেরকে কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন তারা হলেন : ২ নম্বর সাক্ষী মামলার ভিকটিম, ৩ নম্বর সাক্ষী জেনেভা ক্যাম্পের জাবেদের স্ত্রী আফসানা বেগম ও ৪ নম্বর সাক্ষী একই এলাকার আব্দুল কাইয়ুমের ছেলে মেরাজ কাদেরী।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, আট বছরের শিশুকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে ভিকটিমের মা ২০১৪ সালের ১১ সেপ্টেম্বর মোহাম্মদপুর থানায় মো: সাদ্দামকে (১৮) আসামি করে মামলা দায়ের করেন। সাদ্দাম মোহাম্মদপুর জেনেভা ক্যাম্প এলাকার সিদ্দিকের ছেলে। মামলায় বাদি অভিযোগ করেন, সাদ্দাম তার মেয়েকে প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন সময় শ্লীলতাহানি করেছে। ৯ সেপ্টেম্বর দুপুরে সাদ্দাম ওই শিশুকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। সাদ্দাম শিশুটির যৌনাঙ্গে আলপিন দিয়ে আঘাত করে গুরুতর জখম করে।
মামলাটি তদন্ত করে মোহাম্মদপুর থানার এসআই শাহজালাল আলী ওই বছরের ১৯ নভেম্বর সাদ্দামকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেন। পরের বছর ২৪ মে আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন আদালত। ২০১৬ সালের ১৬ জুন মামলার বাদি আদালতে সাক্ষ্য দেন। এরপর আর কোনো সাক্ষী আদালতে হাজির হননি। মামলায় ২ নম্বর সাক্ষী মামলার ভিকটিম, ৩ নম্বর সাক্ষী জেনেভা ক্যাম্পের জাবেদের স্ত্রী আফসানা বেগম ও ৪ নম্বর সাক্ষী একই এলাকার আব্দুল কাইয়ুমের ছেলে মেরাজ কাদেরীকে সাক্ষ্য দিতে আদালত থেকে সমন পাঠানো হলে তারা হাজির হননি। সে কারণে আদালত সাক্ষীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। এরপরও সাক্ষীরা আদালতে হাজির হননি। সর্বশেষ আদালত সাক্ষীদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন।
গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর সাক্ষ্য দিতে না আসায় আদালত ৪৮৫ (এ) ধারার বিধান মতে আদালতের আদেশ অবজ্ঞা করার কারণে কেন সামারি ট্রায়ালের মাধ্যমে সাজা প্রদান করা হবে না মর্মে সশরীরে সাক্ষীদের আদালতে উপস্থিত হয়ে কারণ দর্শানোর আদেশ দেন। ওই আদেশও অবজ্ঞা করেন সাক্ষীরা। অতঃপর গত ২৫ নভেম্বর আদালত ওই তিন সাক্ষীকে ২৫০ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ১৫ দিনের কারাদণ্ড দেন। আদালত সাক্ষীদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা ইস্যু করেন। এ দিকে মিথ্যা সাক্ষ্য দিতে এসে ধরা পড়েন আসামি সাদ্দামের স্ত্রী বিবি খাদিজা। পরে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। প্রায় আড়াই মাস কারাভোগ করে মুক্তি পান বিবি খাদিজা।


আরো সংবাদ



premium cement

সকল